Latest News
বক্সিংয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন জিন্নাত
এপ্রিল ২৪, ২০২৪
থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
এপ্রিল ২৪, ২০২৪
থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি নির্বাচন স্থগিত
এপ্রিল ২৩, ২০২৪
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ, ১৪৩১
বিশ্ববিদ্যালয়ের গতানুগতিক শিক্ষা বন্ধ করে গবেষণা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে হবে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা)-এর ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার সভাপতির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সৃষ্ট জ্ঞান জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সে ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য বিষয় বাছাই, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে।
তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এমন মানবসম্পদ সৃষ্টি যারা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় লালিত হয়ে জাতীয় সমস্যা সমাধানে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। যাদের চিন্তায় থাকবে সৃষ্টিশীলতা, উদার নৈতিকতা, মানবপ্রেম ও বিজ্ঞানমনস্কতা। উচ্চশিক্ষা যাতে কেবল সীমাবদ্ধ আনুষ্ঠানিক বিদ্যায় পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষায় তা সম্ভব নয়। বর্তমান যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এক পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তারা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, ইউডা-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শরীফ, ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মুজিব খান এবং উপ-উপাচার্য ড. আহমদ উল্লাহ মিয়া বক্তব্য রাখেন।
সমাবর্তনে স্নাতক পর্যায়ে ৮৫৯ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৭৭০ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ৬ জনকে উপাচার্য অ্যাওয়ার্ড এবং ১৪ জনকে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
Our facebook page