চলমান রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্কে আবারো টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার অভিযোগ করেছে মিয়ানমার আবারও আকাশসীমা লংঘন করেছে। গত সপ্তাহে তিনবার দেশটি বাংলাদেশের আকাশসীমা লংঘন করেছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো, হয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ড্রোন ও হেলিকপ্টার বৃহস্পতিবার এবং গত ১০ ও ১২ই সেপ্টেম্বর তিন দিন বাংলাদেশের আকাশসীমা লংঘন করেছে। আর এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া উইংয়ের মহাপরিচালক গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্সকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে তার কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লংঘনের মতো ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে সে বিষয় নিশ্চিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রতিবাদলিপিতে দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনায় অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির তৈরি করতে পারে।
এর আগেও আকাশসীমা লংঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার।
মিয়ানমার প্র্রেসিডেন্টের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের বুঝা উচিত সীমান্তের কাছেই সেনাবাহিনী তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর জন্য।
ইতোমধ্যেই জাতিসংঘ জানিয়েছে যে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে প্রায় চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এত সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার জন্য বাংলাদেশ সরকার রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।