Latest News
দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন
মে ১৬, ২০২৪
শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
কখন কোন দরকারে পাসপোর্ট লাগবে বলা যায় না। আমি অসুস্থ ছিলাম খুৃব। সাথে সাথে পাসপোর্ট বানানোও যায় না। আগে থেকে করা থাকলে অত কষ্ট করতে হত না।
তাই করে রাখাই ভাল প্রয়োজনের আগে।
প্রতিটা বিভাগীয় শহরে পাসর্পোট অফিস আছে। চট্টগ্রাম পাসর্পোট অফিস দেওয়ানহাট মোড় থেকে একটু সামনে।
বৈধ পথে পাসর্পোট করা অনেক কঠিন। তবে অনলাইন থেকে নেয়া আবেদনপত্র জমা দিতে গেলে ঝামেলা করে কম। আশেপাশে অনেক দালাল আছে নয়তো খুলশী হাবিব লেন ভারতীয় দূতাবাসের অপজিটের দোকানগুলোতে চলে যাবেন। ওরা ভিসার কাজ ও করে।
টাকা কত লাগছে সেটা নির্ভর করছে আপনার কত দ্রুত পাসর্পোট লাগছে তার উপর।
এক মাস পরে চাইলে ৫-৬ হাজার টাকায়, ১২ দিনে হলে ৭-৯ হাজার আর ৭ দিনে হলে ১৪-১৫ হাজার টাকায় পাসর্পোট করা যাবে। আমি ১২ দিনে ৮ হাজার টাকায় করেছিলাম।
আসুন তাহলে পাসপোর্ট অফিসে চলে যাই।
তবে এখানে যাওয়া ছাড়াও শুরু করা যাবে অনলাইনে। অনলাইনে সুবিধা হলো যত লাইন থাকুক না কেন অনলাইন ফর্মের জন্য কোন লাইন ধরা লাগবে না। শুধু বাসা থেকে বাসা থেকে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি সত্যয়িত করে নিয়ে যাবেন পাসপোর্ট অফিসে।
অনলাইনে আবেদন করার আগে আপনাকে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। কারণ অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং জমাদানের রিসিটের নাম্বার দরকার হবে।। তাই টাকা আগে জমা দেয়া থাকলে একবারেই ফর্ম পূরণ করা হয়ে যাবে।
১। ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া
সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় পাসপোর্ট আবেদনের ফি হিসাবে টাকা জমা দিতে হবে। এই নির্ধারিত শাখা পাসপোর্ট অফিসের কাছে কোথাও হবে অথবা দালালের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন। সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় যোগাযোগ করলে তারাও জানাতে পারবে। রেগুলার ফি ৩৫০০/- টাকা ( ১ মাসের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে) আর ইমারজেন্সি ফি ৭০০০/- টাকা ( ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে) ।
তবে আপনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবি হলে বা সরকারী চাকুরিজীবির স্ত্রী এবং তার ১৫ বছর বয়সী সন্তানের ব্যাংক ড্রাফট খরচ ও অর্ধেক দিতে হবে। আর েএই পাসপোর্ট আসবে সাত দিনের মধ্যেই। স্ত্রী ও সন্তানদের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অবসরনামার কাগজ বা পেনশন বইয়ের ফটোকপি জমা দিতে হবে।।
এবার চলে আসুন ওয়েবসাইটে
২। অনলাইন আবেদন শুরু করুন
পাশে লিখা Contuinue to online Enrolment সেটাতে ক্লিক করতে হবে।
৩। শুরুতে আপনি কোন দেশ থেকে পাসপোর্টের আবেদন করছেন সিলেক্ট করতে হবে। এরপর পাসপোর্টটির ধরন যেমন অর্ডিনারি, ডিপ্লোম্যাটিক বা অফিসিয়াল সেটি দিতে হবে। আমরা যারা সাধারণ তাদের পাসপোর্ট অর্ডিনারি হয়। পরের ঘরে ডেলিভারী টাইট Regular না Express সেটি নির্বাচন করে দিতে হবে। দ্রুত দরকার হলে Express সিলেক্ট করবেন।
৪। Personal information সেকশনে সঠিকভাবে নাম, পিতা-মাতার নাম ও পেশা, জাতীয়তা, স্বামী বা স্ত্রীর নাম [যদি থাকে] ও পেশা, আবেদনকারীর বৈবাহিক অবস্থা, পেশা, জন্মগ্রহণকারী দেশের নাম ও জেলার নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, জন্ম পরিচয়পত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর [যদি থাকে], উচ্চতা, ধর্ম ও ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে। আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি ( যেমন নামের বানান, প্যারেন্টস এর নাম ) যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেটের মতই হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। মেইল এড্রেস আর মোবাইল নাম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই রেগুলারটা দেবেন।
Citizenship Information সেকশনে জাতীয়তা, জাতীয়তার ধরন ও এক বা একাধিক নাগরিকত্ব রয়েছে কিনা জানাতে হবে। একেবারে নিচের দিকে পোস্ট অফিস, থানা ও জেলা সহকারে বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবেণ। তথ্যগুলো ভালোভাবে দেখে পরবর্তী পেজে যাওয়ার আগে Save & Next বাটনে ক্লিক করবেন।
৫। পরবর্তী পেজে অ্যাপ্লিকেশন আইডি বা আবেদন ফরম নম্বর দেওয়া হবে। এ ছাড়া ই-মেইলে অ্যাপ্লিকেশন আইডিসহ একটি পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। এটি সংরক্ষণ করতে হবে। নিচের দিকে Applicant Contact Information সেকশনে অফিস, বাসা বা আবেদনকারীর নিজস্ব সেল ফোন নম্বর দিতে হবে। emergency Contact Person’s Details সেকশনে পরিচিত একজনের নাম-ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
৬। Passport Information সেকশনে আবেদনকারীর আগে কোনো পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য প্রদান করতে হবে।
Payment Information সেকশনে পাসপোর্ট আবেদনের চার্জ প্রদানের প্রয়োজনীয় তথ্য চাইবে। এখানে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেওয়া টাকার পরিমাণ ও রশিদ নম্বর দিতে হবে।
Foreign Mission– -এর ঘরে আবেদনকারী কী জন্য বিদেশে ভ্রমণ করবেন তার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান শেষ হলে Save & Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সবশেষে আপনি যেদিন ছবি তোলা ও হাতের ছাপ দেয়ার জন্য বায়োমেট্রিক টেস্ট দিতে যেতে চান, সুবিধামত সেইদিনটা নির্বাচন করে সাবমিট করুন।
৭। পরবর্তী পেজে আবেদনকারীর পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্রটি প্রদর্শিত হবে। শেষবারের মতো সব ঠিক আছে কি-না তা দেখে নিতে হবে। সঠিক থাকলে নিচের দিকে Save বাটনে ক্লিক করতে হবে। চূড়ান্ত আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। এ ছাড়া ই-মেইলে দেওয়া আবেদনপত্রের নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে পরে আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করা যাবে। প্রিন্ট করা আবেদনপত্রটি সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে আবেদন চার্জসহ জমা দিতে হবে।
আপনার পূরণকৃত ফর্মের যেই পিডিএফ কপিটা পেয়েছেন, সেটার ২ কপি কালার প্রিন্ট করে ফেলুন। যেসব জায়গা হাতে পূরণ করতে হবে সেগুলো করে ফেলুন । আপনার সাইন দিন।
এবার নিজের চার কপি ছবি , জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম নিয়ে পরিচিত কোন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিন। পরিচিত কাউকে দিয়ে সসত্যায়ন করানো দরকার এই কারণে যে, ঐ কর্মকর্তার নাম , যোগাযোগ ও ফোন নাম্বার ফর্মে লিখতে হয়।
সত্যায়ন শেষে পুরো ফর্মটি রিচেক করুন।
সত্যায়িত ছবি এবং ব্যাংকের রিসিট আঠা দিয়ে ফর্মের সাথে যুক্ত করুন। সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটি নিন।
আপনার ফর্ম জমা এখন দেয়ার জন্য প্রস্তুত।
আপনার নির্বাচন করা তারিখে সকাল সকাল পাসপোর্ট অফিসে চলে যান । অবশ্যই সাদা পোষাক পরবেন না , ফর্মাল পোষাক পরার চেষ্টা করুন।
সকাল ৯ টার দিকে গেলেই হবে। কোন লাইনে দাঁড়াতে হবে না আপনাকে । সরাসরি মেইন গেইট দিয়ে মূল অফিসে যান। সেখানে দায়িত্বরত সেনা সদস্যকে জিজ্ঞেস করুন কোন রুমে যাবেন । সাইন শেষে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে ছবি তোলার জন্য কোন রুমে যাবে। ঐ রুমগুলো ঠিক পাশেই। সিরিয়াল আসলে ছবি তুলুন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিন।
এবার আপনাকে পাসপোর্ট রিসিভের একটা রিসিট দেবে। সেটা যত্ন করে রাখুন । পুলিশ ভেরিফিকেশান সাপেক্ষে, রিসিট পাওয়ার একমাস বা ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট পাবেন ।
আর সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপিসহ সত্যায়িত কপিগুলো নিয়ে যান। তিনতলায় যেয়ে সেখানকার সেনাসদস্যের কাছ থেকে দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন , সব সংযুক্তি ঠিক আছে কিনা।
সাথে অবশ্যই কলম রাখুন।
আঠা, স্ট্যাপলার, এক্সট্রা ছবিও সাথে রাখুন।
পুলিশ ভেরিফিকেশানই আমার কাছে ঝামেলার মনে হয়েছে। যদি আপনার স্থায়ী আর বর্তমান ঠিকানা আলাদা হয় , তবে দুই জায়গাতেই আপনার ভেরিফিকেশান হয়ে থাকে। পুলিশের এস বি ( স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এই কাজটা করে থাকে এইটা করতে যেয়ে পুলিশ বখশিশ হিসাবে টাকা চেয়ে বসে। খুবই ইরিটেটিং একটা ব্যাপার । সেটা ৫০০-১০০০ পর্যন্ত হতে পারে।
তবে আপনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবি হলে বা সরকারী চাকুরিজীবির স্ত্রী এবং তার ১৫ বছর বয়সী সন্তানের কোন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন হয় না।
ভেরিফিকেশান শেষ হলে আপনার মোবাইলে এস এম এস আসবে। যেদিন এস এম এস আসবে তারপরেই আপনি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে আপনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবি হলে বা সরকারী চাকুরিজীবির স্ত্রী এবং তার ১৫ বছর বয়সী সন্তানের সপোর্ট আসবে সাত দিনের মধ্যেই।
ব্যস, এইবার পাসপোর্ট হাতে নেয়ার পালা।
পাসপোর্ট অফিসে চলে যান। লাইনে দাঁড়ান।
সাথে রিসিট আর কলম রাখুন । ৯ টার দিকে গেইট খুলবে। লাইন ধরে প্রবেশ করুন।
রিসিট জমা দিন। অপেক্ষা করুন।
এবার আপনার নাম ডাকবে ।
যদি অনলাইনে না করে পাসপোর্ট অফিসে যান তাহলে পাসপোর্ট করতে এসছেন বললেই একটা আবেদন পত্র দিবে।
অবশ্য এসব দালাল বুঝিয়ে দিবে। সে টাকা নিয়েছে পুরো কাজটা শেষ করার জন্যেই। তাই আবেদন পত্র নিয়ে অত ভাবতে হবে না।
চার পৃষ্ঠার এ আবেদনপত্রে আপনার নাম, বাবার নাম, মাতার নাম, তাদের পেশা, জাতীয়তা, জন্মস্থান, জন্ম তারিখ, জন্ম সনদপত্র নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, আর জরুরী যোগাযোগের জন্যে একজনের ঠিকানা লিখে নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর ও তারিখ লিখবেন। একটি ৫৫ × ৪৫ মিলিমিটার আকারের রঙিন ছবি (পাসপোর্ট সাইজ ছবি) সেটি ফরমে আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়িত করে নিবেন। ছবিটি এমনভাবে সত্যায়িত করতে হবে যেন সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর এবং সীলমোহর এর অর্ধেক অংশ ছবির উপর আর বাকি অর্ধেক অংশ ফরমের কাগজে থাকে।
টাকা জমা দিতে হবে সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায়। চট্টগ্রামে দেওয়ানহাট মোড়ের সোনালী ব্যাংকের যে শাখা আছে সেটায় টাকা জমা নেয়। দালাল বলে দিবে কোথায় টাকা জমা দিবেন।
তবে আপনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবি হলে বা সরকারী চাকুরিজীবির স্ত্রী এবং তার ১৫ বছর বয়সী সন্তানের ব্যাংক ড্রাফট খরচ ও অর্ধেক দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সন্তানদের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অবসরনামার কাগজ বা পেনশন বইয়ের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
টাকা জমা দেয়ার পর আপনাকে দেয়া রশিদের অংশে একটি নম্বর লিখে দিবে। এই নম্বরটি আপনার পাসপোর্ট ফরমের ক্রমিক নং ২৫ এ নিদিষ্ট শূন্যস্থানে বসাতে হবে। এরপর রশিদটি আপনার পাসপোর্টে লাগিয়ে নিবেন। এর সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি আবেদনপত্র যুক্ত করবেন।
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার আগে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা এটি ভেরিফিকেশন করবেন।। আবেদপত্রটি ভেরিফিকেশন করানোর আগে এর সঙ্গে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদটি আঠা দিয়ে আবেদন পত্রের সঙ্গে যোগ করে দিতে হবে।
তো এবার অাবেদন পত্র জমা দেয়ার পালা।
আবেদন পত্রটির ভেরিফিকেশন করে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদনপত্র যাচাই করে সিলসহ স্বাক্ষর করবে। এরপর আবেদনপত্রটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট অফিসেই খোলা আছে বেশ কয়েকটি বুথ। এসব বুথেই জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রটি জমা দেবার সময় পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত ব্যাক্তি আপনার তথ্যগুলো কম্পিউটারে এন্ট্রি করে রাখবে। এরপর তিনি আপনাকে একটি টোকেন দেবেন। এরপর সে টোকেনসহ আবেদনপত্রটি নিয়ে ছবি তোলার জন্য আরেকজন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যেভাবে ছবি তোলা হয়েছিলো, এখানেও একইভাবে নির্দিষ্ট মাপের ছবি তোলা হবে। সাদা কাপড় পড়ে ছবি তোলা যাবে না।
এছাড়াও দুই হাতের আঙ্গুলের ছাপও দিতে হবে ইলেকট্রনিক মেশিনে ।
এরপর নেয়া হবে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর।
তবে, ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর আবেদন পত্রের স্বাক্ষরের সঙ্গে যেনো মিল থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই প্রক্রিয়া শেষে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একটি আলাদা ডকুমেন্ট দেবে এবং আবেদনপত্রটি রেখে দিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার তারিখও জানিয়ে দেবেন। আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।
আবেদনপত্র জমা হওয়ার পর পাসপোর্ট অধিদপ্তর আবেদন বা ফরমের একটি কপি পুলিশ বিভাগের কাছে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে এটি সংশ্লিষ্ট থানায় যায়। সেখান থেকে একজন কর্মকর্তা আপনার ঠিকানায় সশরীরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আসবে। কয়েকটি জিনিস দেখার কথা তার।যেমন-অাপনার ঠিকানা সঠিক কি-না, এটি আপনার বর্তমান ঠিকানা হলে সেখানে অবস্থান করছেন কি-না, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য তথ্য সঠিক কি-না। এ ক্ষেত্রে পরিদর্শনে আসা পুলিশ কর্মকর্তা অাপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি চাওয়ার কথা। এটাও দেখার কথা আপনি কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত কি-না।
আপনার চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। পুলিশ এর কিছুই করবেনা। আসবে ৫০০ টাকা দিবেন চলে যাবে। আর দালাল তো আছেই তাকে টাকা বাড়িয়ে দিলে পুলিশ আসবেই না।
তবে আপনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবি হলে বা সরকারী চাকুরিজীবির স্ত্রী এবং তার ১৫ বছর বয়সী সন্তানের কোন পাসপোর্ট ভেরিফেকেশন হয় না। আর এই পাসপোর্ট আসবে সাতদিনের মধ্যেই।
ব্যস আপনার কাজ শেষ। যে তারিখ টোকেনে দেয়া আছে সে তারিখে নিয়ে আসুন পাসপোর্ট।
পাসপোর্টের জন্য ফরম বিতরণ ও জমা নেওয়া হয় প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১•৩০ মিনিট পর্যন্ত। আর পাসপোর্ট বিতরণ করা হয় সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
সরকারি ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) বাদ দিয়ে সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন খোলা থাকে।
কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস আগারগাঁও, ঢাকার উপপরিচালক (কক্ষ-২০৩, দ্বিতীয় তলা)। ফোনঃ ৮১৫৯৫২৫।
এমআরপির আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে দেশের ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসের অধীনে রয়েছে কয়েকটি জেলা।
আঞ্চলিক অফিস- ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, যশোর ও গোপালগঞ্জ।
ঢাকা: ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ জেলা।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলা।
কুমিল্লা: কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
সিলেট: সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা।
রাজশাহী: রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলা।
বরিশাল: বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা।
রংপুর: রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলা।
যশোর: যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, নড়াইল, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা।
Our facebook page