Latest News
ফেনীতে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে শিক্ষার্থী নিহত
মে ১৯, ২০২৪
বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
মে ১৯, ২০২৪
গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ৪
মে ১৯, ২০২৪
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
।। প্রকৌশলী ম ইনামুল হক ।।
সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্টের সামনে ন্যায় বিচারের প্রতীক মূর্তি তোলা ও পুনঃ বসানো নিয়ে নাটক হয়ে গেল। সবাই জানে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বললেন, ঐ মূর্তি বসানো আমারও পছন্দ হয়নি, তখন থেকেই ওটা সরে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল। কার আদেশে ওটা সরেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রশ্ন এল, সারা দেশে স্থাপিত অন্য মূর্তি গুলিও কি তোলার দাবি উঠবে? শিল্পী মৃণাল হক কাঁদলেন। ঘটনার মূল হোতারা বলে উঠলেন, না আর কোন মূর্তি সরবে না। তারপর মূর্তি সরানোর বিপক্ষে অবস্থানকারীরা জেহাদে নেমে গেল। ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই সুপ্রীম কোর্টের ভেতরে ন্যায় বিচারের প্রতীক মূর্তিটি আবার পুনঃ বসানো হয়ে গেল!
সুপ্রীম কোর্ট বা বাংলাদেশের কোন আদালতের ন্যায় বিচার কি প্রতীকী মূর্তির উপর নির্ভরশীল? সুপ্রীম কোর্ট বা আদালতে কি সব সময় ন্যায় বিচার হয়? সুপ্রীম কোর্টের সামনে দাঁড়িপাল্লা সরিয়ে ন্যায় বিচারের প্রতীক মূর্তি বসিয়ে কি আদালতের বিচারকরা দেবতায় পরিণত হলেন? কথায় বলে, কারু যদি বিপদে ফেলতে চাও, তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দাও। সূপ্রীম কোর্টের যে কি হাল তা আমরা প্রধান বিচারপতি সিনহার মুখ ফসকে যাওয়া দু চারটে কথায় জানতে পারি। আমরা এতটুকু বুঝি, ঐ সূপ্রীম কোর্টের বিচার নিয়ে সাধারণ মানুষের কোন মাথাব্যাথা নেই। ঐ জায়গাটা হল বাংলাদেশের সমাজের লুটপাটকারী উঁচু তলার লোকদের।
এটা ঠিক সুলতানা কামাল অতি আবেগ দেখিয়েছেন, যা তাঁর ব্যক্তিত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।। এটাই সমস্যা। আমাদের যুব সমাজ গৌণ বিষয় গুলির উপর বেশি আবেগ দেখিয়ে শক্তি নিঃশেষ করে চলছে। এদের নেতৃত্বে আছেন সুলতানা কামালের মত ব্যক্তিরা যারা নিজেদের আবেগ সময়মত সংযত করতে পারেন না। তবে সুলতানা কামাল তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়া সুন্দরবন রক্ষায় তিনি যে আন্দোলন করে যাচ্ছেন তার একটা বিশেষ মূল্য আছে। টক শো তে তাঁর বাড়াবাড়ি নিয়ে যারা আপত্তি তুলেছেন তারা কি সুন্দরবন রক্ষা নিয়ে কোন কথা বলেন?
ইসলাম এখন নানা দেশে নানা রূপ নিয়েছে। নিক, ইসলাম সকল মানুষের জন্য এসেছে। রাখে আল্লায় মারে কে? তবে ইসলামকে জঙ্গি রূপে দেখানো আমাদের দেশে ফ্যাসন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরস্পর বিরোধী দুই পক্ষই তা করে চলছে। এর ফলে মারা পড়ছে বিভ্রান্ত কিছু নিরীহ মানুষ। দুই পক্ষেরই। অথচ ইসলাম শান্তির ধর্ম, ক্ষমার ধর্ম। স্বয়ং ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (স) তাঁর বিদায় হজের ভাষণে বলে গেছেন, সাবধান! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাকবে। জেনে রেখো, তোমাদের পূর্ববর্তীগণ এই বাড়াবড়ির কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলাদেশে শান্তি ও ন্যায়বিচারের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ইসলামের নবীর এই কথার মর্মার্থ বুঝতে হবে।
প্রকৌশলী ম ইনামুল হক, আহবায়ক, সর্বজন বিপ্লবী দল।
নোট: লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া।
Our facebook page