শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১

নিজের সাংসদ প্যাডে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-কে চিঠি লিখে তাপস পাল জানিয়েছিলেন, তিনি কিস্তিতে টাকা দিয়ে রোজ ভ্যালি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনস লিমিটেডের কাছ থেকে একটি জমি কিনেছেন। ওই সংস্থা আরবিআইয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন কি না, চিঠিতে মূলত সেটাই জানতে চেয়েছিলেন ওই তৃণমূল সাংসদ।

ভুবনেশ্বরে বিশেষ আদালতে তাপস এবং তৃণমূলেরই অন্য সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১০ সালের ২৯ মে আরবিআই-কে লেখা তাপসের সেই চিঠি মিথ্যা। কারণ, ২৯ মে যখন ওই চিঠি লেখেন, তখনও পর্যন্ত তিনি রোজ ভ্যালি থেকে কোনও জমিই কেনেননি। শুধু আরবিআইয়ের কাছ থেকে চিঠির একটি ‘জবাব’ সংগ্রহের জন্যই মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়।

সিবিআই চার্জশিটে জানিয়েছে, তাপসকে চিঠি দিয়ে আরবিআই জানিয়েছিল, যে-হেতু ওই সাংসদের উল্লেখ করা সংস্থাটি ‘ব্যাঙ্ক নয়, এমন আর্থিক সংস্থা’ (এনবিএফসি)-র মধ্যে পড়ে না, তাই সেটি আরবিআইয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। সিবিআইয়ের অভিযোগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেই চিঠিকেই হাতিয়ার করে রোজ ভ্যালি। আরবিআইয়ের সেই বক্তব্যের অপব্যবহার করে রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু এবং ওই সংস্থার অন্য ডিরেক্টরেরা বলতে শুরু করেন, ‘এই দেখুন, আরবিআই বলেছে, আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন নই।’ সিবিআইয়ের দাবি, গৌতমের নির্দেশেই ওই চিঠি লেখেন তাপস।

সে-বছরেরই ২ জুন তখনকার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে বাংলার বিভিন্ন লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তাপস। তাঁর পাঠানো তালিকায় সারদা-সহ বিভিন্ন সংস্থার নাম থাকলেও রোজ ভ্যালির নাম ছিল না। সিবিআইয়ের অভিযোগ, তাপস ওই চিঠিও লেখেন গৌতমের নির্দেশেই। তখন তিনি রোজ ভ্যালির দু’টি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন।