বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ, ১৪৩১

এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপের পর এ বার ফোন করে তালাক! সাত বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নকে।

লখনউ-নিবাসী স্বামী আজম আব্বাসির বিরুদ্ধে সম্প্রতি এমনটাই অভিযোগ আনলেন নেটবল চ্যাম্পিয়ন শুমায়লা জাভেদ। তাঁর ‘অপরাধ’, তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন! এই অন্যায়ের বিচার চেয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি লিখেছেন শুমায়লা। তাঁর বিশ্বাস, শুধু ‘মন কি বাত’-এ নয়, বাস্তবেও কড়া বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৪-য় আজমের সঙ্গে বিয়ে হয় উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার বাসিন্দা শুমায়লার। পণের দাবিতে প্রথম থেকেই তাঁর উপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অকথ্য মারধরের পাশাপাশি এক বার তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টাও হয়।

কিন্তু শুমায়লা গর্ভবতী হওয়াতেই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। তাঁর দাবি, ছেলে না হলে কপালে দুঃখ আছে বলে প্রথম থেকেই শাসাতে থাকে আজমের পরিবার। গোপনে ইউএসজি করে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণও হয়ে যায়। পরিবারে কন্যা সন্তান আসছে জানতে পেরেই শুমায়লাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। ফেরৎ পাঠান বাবা। আবারও শুরু হয় অত্যাচার। মেয়ে জন্মানোর পর শুমায়লা আমরোহায় ফিরে আসেন। শ্বশুরবাড়িতে আর ফেরেননি। মেয়ে এর মধ্যে বেশ কিছুটা বড়ও হয়ে গিয়েছে। আর ওই তালাক দিতে ফোনটা আসে চলতি মাসেই। অপমানের হিসেব নিতেই এর বিচার চাইছেন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন।

এ ভাবে কি চাইলেই দুম করে তালাক দেওয়া যায়? তিল তালাকের অবলুপ্তি চেয়ে আর্জির পাহাড় জমছে সু্প্রিম কোর্টে। এই প্রশ্ন নিয়েই সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের একটি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মুসলিম মহিলা। বিচারক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ ভাবে বিবাহ-বিচ্ছেদ সম্ভব নয়। কারণ, অভিযুক্ত ওই স্বামী যথাযথ শরিয়তি আইন মানেননি।