শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ, ১৪৩১

বিমান নিয়ে নামার সময় রানওয়ের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠেছিলেন বুদ্ধ এয়ারের বিমানচালক। তখন সকাল পৌনে আটটা। সঙ্গে সঙ্গে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে তিনি জানিয়েছিলেন রানওয়েতে একটি চারপেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবং তাঁর সন্দেহ সেটি একটি বড়সড় চিতাবাঘ। তড়িঘড়ি সব উড়ান ওঠানামা স্থগিত ঘোষণা করে দেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় চিতাবাঘের খোঁজ। আজ সকালে ওই চারপেয়ের জন্যই প্রায় আধ ঘণ্টার জন্য স্থগিত থাকল পরিষেবা। তবে বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরেও বন্যপ্রাণিটির খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন, বিমানচালকের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরই বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু অনেক তল্লাশি চালিয়েও চিতাবাঘ বা সমগোত্রীয় কোনও প্রাণীর খোঁজ মেলেনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, চিতাবাঘ না হয়ে সেটি বেড়ালও হতে পারে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অত উপর থেকে বিমানচালক হয়তো ভুল দেখেছিলেন।’’ এই ঘটনায় কোনও উড়ান বাতিল না হলেও যাত্রীদের বিস্তর দুর্ভোগে পড়তে হয়। কারণ অনেক বিমানই এর ফলে দেরিতে চলেছে। এই সময় এভারেস্টে যাওয়ার জন্য প্রচুর বিদেশি যাত্রীর ভিড় থাকে নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আজকের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন তাঁরাই।

তবে প্রেমনাথ আরও জানিয়েছেন, এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। মাস খানেক আগেও বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি চিতাবাঘ দেখা গিয়েছিল। ত্রিভুবনের পাশেই রয়েছে জঙ্গল। আজকের প্রাণিটি সেই আগের অতিথিও হতে পারে। প্রেমনাথের কথায়, ‘‘আজ রাত বারোটার পরে তল্লাশি অভিযান ফের শুরু হবে। ওই সময় বিমানবন্দর বন্ধ থাকে। রাতে প্রাণীদের চোখ জ্বলজ্বল করে, সে কারণে খুঁজতেও খানিকটা সুবিধা হবে বলে মনে করছে বন দফতর।’’

বিভাগ
আন্তর্জাতিক
প্রকাশিত হয়েছে
নিউজটি পড়া হয়েছে
১৯৩৮৮ বার
faysal


Our facebook page