শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০

প্লাস্টিক ডিম নিয়ে রাজ্য তোলপাড়। অভিযোগ, গ্রেফতার, অভিযান— সবই চলছে। এই অবস্থায় অভয়বাণী শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার খড়্গপুরের জনসভায় তাঁর ঘোষণা, ‘‘বাংলার ডিমে কোনও সমস্যা নেই। বাংলার ডিম চুটিয়ে খান।’’

ভিন্ রাজ্য থেকে বাংলায় প্রচুর ডিম আসে। সেই ডিম পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। জনসভার আগে প্রশাসনিক বৈঠকে তা নিয়ে ক্ষোভ জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের প্রধান সচিব বি পি গোপালিকা, কৃষি বিপণন সচিব রাজেশ সিংহ, কৃষিসচিব সঞ্জীব চোপড়াকে ধমক দেন তিনি। গোপালিকাকে বলেন, “উত্তরবঙ্গে থাকাকালীন প্লাস্টিক ডিমের কথাটা শুনি। কেন বাইরে থেকে আসা ডিমের পরীক্ষা হবে না? কেন আপনারা বসে রয়েছেন?” মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশেও তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ব্যাপারটা আপনারও দেখা উচিত ছিল।’’

‘প্লাস্টিক ডিম’ বলে পার্কসার্কাসের বাসিন্দা অনিতা কুমারের কাছ থেকে কলকাতা পুরসভা যে নমুনা সংগ্রহ করেছিল, তাতেও বিপজ্জনক কিছু মেলেনি। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, দেখা গিয়েছে ওই খোলায় আসল ডিমের মতোই ক্যালসিয়াম কার্বনেট রয়েছে। হাওড়া, বিধাননগর, গড়িয়াহাটে ‘নকল ডিম’ ধরার অভিযানেও তেমন কিছু মেলেনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আদৌ প্লাস্টিক ডিম হয় কি না, কোনটাকে প্লাস্টিক বলা হচ্ছে, এটা আমাকে একটু দেখে নিতে হবে। বাইরে থেকে যে ডিম আসছে তা একটু দেখে নিতে হবে। সব দিক দেখে নিতে আরও তিন-চার দিন সময় লাগবে।” রাজ্যের ডিম যাতে সহজে চেনা যায়, সে জন্য দোকানিদের ‘বাংলার ডিম’ লেখা সাইনবোর্ড ঝোলানোরও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ম্যাগি-বিতর্ক টেনে তিনি বলেন, “যখন ম্যাগি নিয়ে খুব অভিযোগ উঠল, সবাই ভয়ে ম্যাগি খাওয়া বন্ধ করে দিল। পরে জানলাম, রাজ্যে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি।’’ তবে প্লাস্টিক ডিমের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট সন্দিহান। তাঁর কথায়, “আমি জানতে চেয়েছিলাম, এটা কে রটালো? আমার কাছে যতদূর খবর, তাঁরা না কি বাংলার নয়।”

বিভাগ
আন্তর্জাতিক
প্রকাশিত হয়েছে
নিউজটি পড়া হয়েছে
১৮৩৪০ বার
faysal


Our facebook page