Latest News
বক্সিংয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন জিন্নাত
এপ্রিল ২৪, ২০২৪
থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
এপ্রিল ২৪, ২০২৪
থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি নির্বাচন স্থগিত
এপ্রিল ২৩, ২০২৪
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ, ১৪৩১
গত কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় র্যাবের ওপর হামলা বা সীতাকুন্ডে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর, অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা কি আবার বেড়ে যাচ্ছে?
গত কিছু কালের মধ্যে ঢাকার কল্যাণপুর থেকে শুরু করে সবশেষ বৃহস্পতিবার সীতাকুন্ডের অভিযান শেষে জঙ্গি বিরোধী তৎপরতায় সাফল্যের দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
কিন্তু আশকোনা ও খিলগাঁওয়ের ঘটনার পর কি বলা যায় যে জঙ্গিদের আসলেই কোণঠাসা করা সম্ভব হয়েছে?
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. আবদুর রব খান মনে করেন, আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই – জঙ্গি সংগঠনগুলো তাদের সদস্য সংখ্যা ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সবশেষ এই আক্রমণগুলোর জন্য তৈরি ছিল না।”
“এর মধ্যে দিয়ে দেখা গেল যে জঙ্গিবিরোধী তৎপরতায় আমরা সাফল্য অর্জন করেছি কিন্তু আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই, আরো প্রয়াস চালাতে হবে।”
“এরা আসলে খুব দ্রুতগতিতে এদের সদস্য সংখ্যা বাড়াচ্ছে, ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করছে। দক্ষিণ খানের ঘটনায় এরআগে মহিলা আত্মঘাতী বোমারু দেখেছি, এখন দেখা গেল র্যাব হেডকোয়ার্টারে হামলা করলো পুরুষ আত্মঘাতী বোমারু।”
সবশেষ আক্রমণগুলো থেকে বোঝা যায় নিরাপত্তা বাহিনীগুলো এ ধরণের আক্রমণের জন্য তৈরি ছিল না, আগে থেকে কিছু জানাও ছিল না যে এমন কিছু হতে পারে – বলেন ড. খান।
যেভাবে নারী আত্মঘাতী হামলাকারীদের তৈরি করা হচ্ছে, তাতে বোঝা যায় যে কেউ না কেউ এটা পরিচালনা করছে। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর হাত কি সেখানে পৌঁছাতে পেরেছে?
বিবিসি বাংলার রাকিব হাসনাতের এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রব খান বলেন, এমনও হতে পারে যে এটা হয়তো কোন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে পরিচালিত হচ্ছে না। নিরাপত্তা বাহিনীগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোককে ‘আসল নেতা’ বলে উল্লেখ করেছে।
“কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে আসলে এরা ‘ডি-সেন্ট্রালাইজড’, বিভিন্ন জায়গা থেকে এরা স্লিপার সেলের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ, তাদের উদ্বুদ্ধকরণ বা প্রশিক্ষণের কাজ করছে।”
“কাজেই এদের নেতা একজন বলে যা বলা হচ্ছিল – আমার মনে হয় সেটা ঠিক নয়” – বলেন ড. খান।
ঢাকার আশকোনায় র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী।
গত বছর জুলাইয়ে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পর এই প্রথম কোন হামলার ঘটনা নিজেদের বলে দাবি করলো আইএস।
তবে সরকার বলছে যে এসব দেশীয় গোষ্ঠীগুলোরই কাজ। ড. আবদুর রব খান বলছেন, “এটা ঠিক যে আইএসের আদর্শ বা পদ্ধতিকে এখন ‘কপি’ করা হচ্ছে। কিন্তু একে আমরা নব্য জেএমবি বলবো না আইএস বলবো – তা এটা অনেকটাই কৌশলের ব্যাপার।”
তিনি বলেন, এদের দমনের জন্য সব নিরাপত্তা বাহিনীকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
Our facebook page