Latest News
কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
মে ১৮, ২০২৪
গোবিন্দগঞ্জে ২১ কেজি গাঁজা জব্দ
মে ১৮, ২০২৪
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
পিরোজপুর মুক্তদিবস আজ ৮ ডিসেম্বর।
১৯৭১ সালের এই দিনে পিরোজপুর পাকহানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। এই দিনে ঘরে ঘরে উড়েছিল লাল সবুজের বিজয় পতাকা। পিরোজপুরের ইতিহাসে এ দিনটি বিশেষ স্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীন সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিনের আওতায়।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করার ১৮ ঘন্টার মধ্যে পিরোজপুরের আওয়ামীলীগের নেতৃতাধীন মহকুমা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রাগার ভেঙ্গে অস্ত্র গুলি নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করে ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নেয়।
১৯৭১ সালের ৪ মে পিরোজপুরে প্রথম পাক বাহিনী প্রবেশ করে। শহরের প্রবেশদ্বার হুলারহাট নৌ-বন্দর থেকে পাকবাহিনীরা প্রবেশের পথে প্রথমেই তারা মাছিমপুর ও কৃষ্ণনগর গ্রামে শুরু করে হত্যাযজ্ঞ। তারপর ৮ মাস স্থানীয় শান্তিকমিটির নেতা ও রাজাকারদের সহায়তায় বিভিন এলাকায় সংখ্যালঘু ও স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়। হত্যা করা হয় ৩৫ সহস্রাধিক মুক্তিকামী নারী-পুরুষ শিশুকে ।
পিরোজপুরকে হানাদার মুক্ত করতে সুন্দরবনের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ৭ ডিসেম্বর রাত ১০টায় পিরোজপুরের দক্ষিণপ্রান্ত পাড়েরহাট বন্দর দিয়ে শহরে প্রবেশ করতে থাকে। মুক্তিবাহিনীর এ আগমনের খবর পেয়ে পাক হায়নারা শহরের পূর্বদিকের কচানদী দিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। এর আগে স্বরূপকাঠী পেয়ারা বাগানে মুক্তিযোদ্ধাদের গড়ে তোলা দূর্গে পাকবাহিনী আক্রমন করলে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমন পাকবাহিনী পর্যুদস্ত হতে থাকে।
অবশেষে ৮ ডিসেম্বর পিরোজপুর ছেড়ে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা পিরোজপুর অঞ্চলে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করে। সম্ভ্রম লুটে নেয় প্রায় ৫ হাজার মা-বোনের।
পিরোজপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। সকাল সাড়ে ৮ টায় টাউন ক্লাব স্বাধীনতা চত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে বলেশ্বরঘাট শহীদ বধ্যভুমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মৃতিচারণ। সন্ধ্যা ৬ টা ১ মিনিটে মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোর মিছিল। সন্ধ্যা ৭ টায় টাউন ক্লাব স্বাধীনতা মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাসস।
Our facebook page