বাংলাদেশে কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুটি গোপন অস্ত্র কারখানায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের পর বিশেষ পুলিশ র্যাব বলছে, এসব অস্ত্র বিক্রি হতো দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী, ডাকাত-দস্যু ও অস্ত্রব্যবসায়ীদের কাছে।
কক্সবাজারের চকরিয়ার চরণদ্বীপ এলাকায় চিংড়ি ঘেরের মধ্যে এই দুইটি অস্ত্র কারখানা থেকে২০ টি দেশীয় অস্ত্র এবং বেশ কিছু গুলি উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।
“এই অস্ত্রগুলো তারা বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী এবং ডাকাতদের কাছে বিক্রি করতো। সেই খবর পেয়ে আমরা এলাকাটা ঘেরাও করি এবং গতকাল রাত ৪ টা থেকে আজ সকাল ১০ টা পর্যন্ত অভিযান চালাই” – বলেন র্যাব-৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদ।
দুটি অস্ত্র কারখানা থেকে ৮ টি এসবিবিএল (একনলা বন্দুক), একটি দোনলা বন্দুক, ২ টি দেশীয় থ্রি নট থ্রি রাইফেল, একটি .২২ দেশীয় রাইফেল এবং ৮ টি ওয়ান শ্যুটার গান উদ্ধার করা হয়।
লেদ মেশিনসহ অস্ত্র তৈরির বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে ৬ জনকে আটক করেছে র্যাব, যাদের মধ্যে ১ জন নারীও রয়েছেন।
র্যাব কর্মকর্তা মি. আহমদ বলেন, “বাংলাদেশে যেসব দেশীয় অস্ত্র হয়, তার বেশিরভাগই চট্টহগ্রামের মহেশখালী, চকরিয়া এবং বাঁশখালী এলাকা থেকেই যায়। বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় এসব কারখানা হবার কারণে সবসময় খবর পাওয়া যায় না, তবে যখনই আমরা পাই তখনি আমরা তাদের আটক করার চেষ্টা করি”।
এসব দেশীয় অস্ত্রের মূল ক্রেতা বিভিন্ন ডাকাতদল, স্থানীয় সন্ত্রাসী, বিভিন্ন জলদস্যু এবং বনদস্যুরা।
এলজি, ওয়ান শ্যুটার বা এসবিবিএলসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত এসব অস্ত্র কম খরচ এবং সহজলভ্য হবার কারণে সন্ত্রাসীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
র্যাব বলছে, এই অস্ত্রগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতি বা দস্যুতার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। র্যাব বলছে, মূলত: চিংড়ি ঘেরের আদলে কয়েকটি ঘর তৈরি করে অস্ত্র কারখানাগুলো কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল ।
যদিও কক্সবাজার এলাকায় অস্ত্র কারখানা খুঁজে পাওয়ার ঘটনা সম্প্রতি এই প্রথম নয়, এর আগেও এবছরই বেশ কিছু অভিযানে বিভিন্ন সংখ্যায় অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্র তৈরির যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।
কয়েক মাস আগে উখিয়ায় এধরণের একটি অভিযানে ৭ টি অস্ত্র উদ্ধার করেছিল র্যাব।