Latest News
ফেনীতে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে শিক্ষার্থী নিহত
মে ১৯, ২০২৪
বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
মে ১৯, ২০২৪
গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ৪
মে ১৯, ২০২৪
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
“আমি খুব খুশি আমি অনেক স্বর্ণ জিতেছি এখানে এই দেশে এসে,” এই দেশ বলতে জুনাইনা বুঝিয়েছেন বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জুনাইনা আহমেদ এখন বাংলাদেশের সাঁতার অঙ্গনের তারকা।
তার জন্মস্থান ইংল্যান্ডের লন্ডনে।
সেখান থেকে মাত্র দুবার এসেছেন বাংলাদেশে, দুবারই ফিরেছেন স্বর্ণ নিয়ে।
বুধবার শেষ হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা, যেখানে জুনাইনা এককভাবে ৯টি স্বর্ণ জিতেছেন। যার মধ্যে ৮টিই রেকর্ড গড়ে।
মেয়েদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ১ মিনিট ০৩ দশমিক ৯০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন জুনাইনা আহমেদ।
২০১৬ সালে নাজমা খাতুন এই রেকর্ড গড়েছিলেন ১ মিনিট ০৫ দশমিক ২৮ সেকেন্ডে।
৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইলের ক্ষেত্রে আগের রেকর্ডের চেয়ে ৩২ সেকেন্ড সময় কম লাগে জুনাইনার।
এছাড়া ৪০০ মিটার মিডলে, ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল, ৪০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক আর ২০০ মিটার বাটারফ্রাইয়েও রেকর্ড গড়েন জুনাইনা আহমেদ।
ছয় বছর বয়স থেকে চাচার প্রেরণায় সাঁতার শেখেন জুনাইনা।
তবে মূলধারার সাঁতারে আসতে তাকে বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন মাইকেল ফেল্পস।
সেই লন্ডন অলিম্পিক থেকে ফেল্পসের ভক্ত সে।
বিবিসি বাংলাকে জুনাইনা বলেন, “আমি তো ছোটবেলা থেকে সাঁতার ভালোবাসি, ইংল্যান্ডে অনেক সুবিধা আছে, সেখানে প্রস্ততি নেয়াও সহজ।”
“আমার পড়ালেখা থাকে, পরীক্ষা থাকে, সেখানে একটা ভারসাম্য আনতে হয়।”
তবে বাংলাদেশে এসে সাঁতারে মানিয়ে নিতে সময় নিতে হয় বলে জানিয়েছেন জুনাইনা।
আর এবার মাত্র একদিনে প্রস্তুতি নিয়েছেন বাংলাদেশের আবহাওয়ায়।
মূলত জুনাইনার বাবার ইচ্ছাতেই বাংলাদেশে নিয়মিত জাতীয় সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন জুনাইনা আহমেদ।
জুবায়ের আহমেদ, যিনি দেশসেরা এই সাঁতারুর বাবা, বিবিসি বাংলাকে বলেন, ২০০১ সালে তিনি লন্ডনে যান। জুনাইনার জন্মও হয় সেখানেই।
“ইংল্যান্ডেও সে কম্পিটিশন করে, কিন্তু আমি খেলা-ধুলার খুব পাগল ছিলাম, আমার সবসময় একটা ইচ্ছা ছিল যে দেশের হয়ে খেলা-ধুলা করবো। কিন্তু আমি পারিনি, তাই জুনাইনাকে দিয়ে চেষ্টা করি যাতে সে দেশের হয়ে খেলে।”
“বাংলাদেশে সামান্য সাফল্য পেলেও সবাই অনেক সমর্থন দেয়, এটা আমি বারবার আমার মেয়েকে বলি, এটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে তার জন্য,” বলছিলেন জুনাইনার বাবা জুবায়ের আহমেদ।
জুনাইনা আহমেদের মা রোজিনা আহমেদও মেয়ের অর্জনে খুবই খুশী।
“আমার মেয়ে খুবই অধ্যাবসায়ী ও পরিশ্রমী। আমি গর্ববোধ করি ওর খেলা দেখতে। আমি সবসময় ইংল্যান্ডেও ওর ইভেন্ট দেখতে যাই, সমর্থন দেই।”
“বাংলাদেশ অনেক বদলে গিয়েছে এখন অনেক মেয়েরা খেলায় আসছে, লন্ডনে থেকে বোঝা যায়না বাংলাদেশ কতটা উন্নতি করেছে মেয়েদের খেলায়,” বলছিলেন জুনাইনার মা।
এর আগে বাংলাদেশে ২০১৭ সালে বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১০টি স্বর্ণ জেতেন জুনাইনা আহমেদ।
Our facebook page