#UPDATE Agence France-Presse’s chief photographer in Kabul, Shah Marai, has been killed.
He died in a blast that was targeting a group of journalists who had rushed to the scene of a suicide attack in the Afghan capital
শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ, ১৪৩১
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দুটো বোমা হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে আটজন
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দুটো বোমা হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে আটজনই সাংবাদিক। সেসময় তারা ওই বিস্ফোরণের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, তাদের প্রধান ফটোসাংবাদিক শাহ মারাই হামলায় নিহত হয়েছেন।
একজন হামলাকারী মোটরবাইকে করে এসে প্রথম হামলাটি চালায়। তখন সেখানে সাংবাদিকসহ লোকজন ছুটে গেলে তার ১৫ মিনিট পরেই চালানো হয় দ্বিতীয় হামলাটি।
ইসলামিক স্টেট বলছে, তারাই এই হামলাটি চালিয়েছে।
এক টুইট বার্তায় এএফপি বলছে, সাংবাদিকদের দলটিকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয়েছে।
পুলিশের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে এএফপি বলছে, “হামলাকারী একজন সাংবাদিকের বেশে সেখানে গিয়েছিলেন। লোকজন জড়ো হওয়ার পর সে এই বিস্ফোরণটি ঘটায়।”
রেডিও ফ্রি ইউরোপও নিশ্চিত করেছে যে তাদের দু’জন সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন। তারা হলেন আবদুল্লাহ হানানজাই এবং মোহাররম দুররানি।
আবদুল্লাহ হানানজাই, যিনি একজন ক্যামেরাম্যান ও সাংবাদিক, মাদক নিয়ে কাজ করছিলেন আর মোহাররম দুররানি কাজ করছিলেন নারীদের বিষয়ে।
তাদের আরো একজন সাংবাদিক সাবন কাকার হামলায় আহত হয়েছেন।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে আটজন সাংবাদিক এবং চারজন পুলিশের কর্মকর্তা। এতে অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
এএফপি বলছে, আরো যেসব সাংবাদিক নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ওয়ানটিভির দু’জন, টোলো নিউজের একজন এবং জাহান টিভির একজন। তাদের নাম পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
আইএস এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হামলার লক্ষ্য ছিল গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তর।
রাজধানীর এই অংশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং নেটোরও অফিস রয়েছে।
শাহ মারাই
শাহ মারাই ১৯৯০ এর দশকে তালেবানের শাসনামলে এএফপির একজন ড্রাইভার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক খবরাখবরের প্রতি তার কৌতুহল এবং ছবি তোলার ব্যাপারে তার আগ্রহের কারণে এএফপি তাকে ফ্রান্সে পাঠায় প্রশিক্ষণের জন্যে।
ফিরে এসে তিনি এএফপির হয়ে রাজধানী কাবুলের বিভিন্ন ঘটনা দুর্ঘটনায় মানুষের ছবি তুলতে শুরু করেন।
তার আলোচিত ছবিগুলোর একটি গত বছর শিয়া মসজিদে হামলার সময় তোলা হয়েছিল। ওই ছবিতে দেখা যায় একটি শিশু হতবিহ্বল চোখে তাকিয়ে আছে। একজন পুলিশ তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলছে। কারণ হামলাকারীরা তখনও মসজিদের ভেতরে ছিল। কিন্তু শিশুটি তার পিতাকে খুঁজছিল।
তার সহকর্মীরা বলছেন, শাহ মারাই ছিলেন খুব শান্ত স্বভাবে, হাসখুশি এবং সবসময় ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করতেন। তিনি কখনও বিপদে ভয় পেতেন না।
তার আরেক বন্ধু সরদার আহমেদ কয়েক বছর আগে কাবুলেই সেরেনা হোটেল আরো একটি হামলায় নিহত হওয়ার পর তিনি একটু ভেঙে পড়েছিলেন বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন।
নিহত এই সাংবাদিকের সাতটি সন্তান রয়েছে যাদের একজন নবজাত শিশু।
Our facebook page