Latest News
বক্সিংয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন জিন্নাত
এপ্রিল ২৪, ২০২৪
থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
এপ্রিল ২৪, ২০২৪
থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি নির্বাচন স্থগিত
এপ্রিল ২৩, ২০২৪
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ, ১৪৩১
মাত্র নয় বছর বয়সেই সংসারের হাল ধরতে একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয় ফাতেমা। এরপরে তার বয়স ১১ হলেই বিয়ের তাকে জন্য বাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়। বাড়িতে গেলে তাকে জানানো হয় ২৫ বছর বয়সী এক ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে।
বিয়ের সব আয়োজন চূড়ান্ত। তবে ঠিক আগ মুহূর্তে সেখানে গিয়ে হাজির হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। বাল্য বিয়ের ছোবল থেকে তারা ফাতেমাকে রক্ষা করে।
বাল্য বিয়ের হাত থেকে যে সংস্থাটি ফাতেমাকে বাঁচিয়েছিল সেটির নাম হলো- আশার আলো পাঠশালা। বিয়ে বন্ধ হওয়ার পর ফাতেমার শিক্ষার দায়িত্বও নেয় তারা। তবে তারপরও ফাতেমার বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ ছিল। ফাতেমাও ছিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ- বিয়ে সে করবে না।
এরপর ফাতেমা চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। পিএসসি ও জেএসসিতে জিপিএ-৫ পায় সে। এখনও সে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দারিদ্র্য ও বাল্য বিয়ের কবল থেকে তার মতো অন্য মেয়েদের বাঁচাতে কাজ করছে সে।
সম্প্রতি মাইক্রোসফট তাদের ওয়েবসাইটে ফাতেমাকে নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেছে। ফাতেমা মাইক্রোসফটকে বলেছে, আমার সব আনন্দ মাটি হয়ে গেল যখন আমি বুঝলাম আমাকে আসলে বিয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।ফাতেমার এই পথে তার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র ছিল তার কম্পিটার শিক্ষা। যার শুরুতে ছিল ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট।
এখন অন্য যেসব কিশোরী বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে আছে ফাতেমা তাদের ডিজিটাল দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ দেয়। মাইক্রোসফট তাকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও বানিয়েছে।
এখন ফাতেমা অন্য মেয়েদেরকে ডিজিটাল স্কিল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তিনি এখন অন্যান্য মেয়েদেরকে ডিজিটাল স্কিলে প্রশিক্ষিত করে বাল্য বিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে চান।
Our facebook page