Latest News
গাজীপুরের বেশিরভাগ রাস্তাই যেন মরণ ফাঁদ
মে ২০, ২০২৪
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের পরবর্তী সময়ে দেশে কি জানি কি হয়— এমন শংকায় আতংকে ছিলো পুরো দেশবাসী। সে কারণে সম্ভাব্য সহিংসতা প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর পাশাপাশি রাজপথ আগলে রেখেছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন দলের দেশব্যাপী এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শহরতলী কেরাণীগঞ্জের সকল রাজপথও ছিল সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের দখলে। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এমন কর্মসূচির দায়িত্ব বুঝে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।
সে অনুযায়ী দলীয় সব অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বর্ধিত সভার মাধ্যমে পুরো কেরাণীগঞ্জকে ৩০টি পয়েন্টে বিভক্ত করে তাদেরকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন শাহীন আহমেদ। যার ফলশ্রুতিতে কাকডাকা ভোর থেকেই কেরাণীগঞ্জের সকল রাজপথ দখলে নেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তাদের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। যে কারণে শত চেষ্টা করেও এখানে কোনরকম মাথাচাড়া দিতে পারেনি বিএনপি-জামায়াত জোট ও তাদের শরীকদলের নেতাকর্মীরা।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, হযরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তৈরি হয় স্থানীয় জালাল মেম্বারের মোড় ও আলীপুর ব্রীজ এলাকায়।
কলাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তেরী হয় কলাতিয়া বাজার ও খাড়াকান্দি মাদ্রাসা এলাকায়।
রুহিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তৈরি হয় রুহিতপুর বাজার ও ইস্পাহানী কলেজ এলাকায়।
তারানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তৈরি হয় ঘাটারচর ও আটিবাজার এলাকায়।
শাক্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকও ইউপি চেয়ারম্যানের এর নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তেরী হয় খোলামোড়া ও ঘাটারচর এলাকায়।
কালিন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তৈরি হয় বরিশুর ও গেটব্রীজ এলাকায়।
বাস্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তৈরি হয় কোনাখোলা ও ভাওয়ারভিঢি বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।
জিনজিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তৈরি হয় জনি টাওয়ার, জিসান কমিউনিটি সেন্টার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস এলাকায়।
আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তৈরি হয় কদমতলীস্থ নুর ইসলাম কমান্ডার চত্বর ও জেলা পরিষদ মার্কেট এলাকায়।
শুভাঢ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তৈরি হয় হাসনাবাদ, ইকুরিয়া, চুনকুটিয়া ও কালিগঞ্জ বাজার এলাকায়।
তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তৈরি হয় আব্দুল্লাহপুর, রাজেন্দ্রপুর ও তেঘরিয়া নতুন রাস্তা এলাকায়।
কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নিরাপত্তা স্পট তৈরি হয় দোলেশ্বর ও স্ট্যান্ডবাজার এলাকায়।
এ সকল স্পটের প্রতিটিতেই উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের স্বরব উপস্থিতি। তিনিও সকাল থেকে শুরু করে দিনভর প্রতিটি স্পট পরিদর্শন করে নেতাকর্মীদের সাহস জুগিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থান নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি মাহমুদ আলম, সহ-সভাপতি শামীম হাসান রানা, আ.লীগ নেতা সাহিদুল হক সাহিদ, মীর আসাদ হোসেন টিটু ও জাকির আহমেদকে।
ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন রাজীবের নেতৃত্বে কদমতলী এলাকায় মিছিল করেছেন ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আহম্মেদ, ইমতিয়াজ শাকিল, এস.এম সুমন, মো. রুবেল, জ. ই. প্রান্ত, মুসলীম, সোহেল, ইলিয়াসসহ আরো অনেকে।
চুনকুটিয়া চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থান নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মিরাজুর রহমান সুমনকে। এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান মেম্বার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ সেলিম বাবু, কোষাধ্যক্ষ মো. সিরাজ, প্রচার সম্পাদক মো. নূর আলম, সহ-প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান সবুজ ইউপি সদস্য সাথী আলীসহ আরো অনেককে।
ঢাকা-মাওয়া সংযোগ সড়কের সাবান ফ্যাক্টরী রোড এলাকায় অবস্থান নিয়ে মিছিল করেছেন শুভাঢ্যা ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমান, লাল মিয়া, শফিকুল ইসলাম বাদল, ইব্রাহিম ও আয়শাসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে ঢাকা জেলা শ্রমিক লীগকে। জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এমদাদুল হক দাদনের নেতৃত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মতিউর রহমান, শিমুল, মঞ্জুর আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল আলম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. মোশারফ ও মো. সজিবসহ আরো অনেককে।
জিনজিরা সৈয়দপুর সড়কের কালিন্দী এলাকায় অবস্থান নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে কালিন্দী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো. মোজাম্মেল হোসেন, মো. হুমায়ুন গনি, হাজী মো. জাহিদ হোসেন রনি, হাজী ইকবাল হোসেন কালিন্দী, মো. ইয়ামিন, জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, আরিফুল ইসলাম, মো. বাবুল ভান্ডারীসহ আরো অনেককে।
কোনাখোলা গোলচত্বর এলাকায় হাজী জেড এ জিন্নাহর নেতৃত্বে অবস্থান নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে শাক্তা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মো. সুলতান খান, শেখ জামাল আহম্মেদ, শরীফ দেওয়ান, নূরুল ইসলাম রানা, মো. জয়নাল আবেদীন, দেলোয়ার হোসেন মেম্বারসহ আরো অনেককে।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক হাজী হাবিবুর রহমান হাবিবের নেতৃত্বে আরশিনগর প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে মিছিল করেছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
Our facebook page