Latest News
কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
মে ১৮, ২০২৪
গোবিন্দগঞ্জে ২১ কেজি গাঁজা জব্দ
মে ১৮, ২০২৪
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
হাসান সাহা, গাজীপুর »
রাজধানী থেকে উত্তরবঙ্গে যোগাযোগের ব্যস্ততম মহাসড়ক ঢাকা-ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল মহাসড়ক। এ মহাসড়কে অল্পদিন আগেও অগণিত যাত্রীকে প্রতিদিন যানজটের কবলে পড়তে হতো। সড়কটির অর্ধেকজুড়ে থাকতো ভাসমান হকার ও পার্কিংয়ের দখলে। কোথাও সংকুচিত হয়ে যান চলাচল করতো। রাস্তার ওপর আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা-নামা হতো। আর তখনই সৃষ্টি হতো দুঃসহ যানজট।
এ যানজটের দুর্ভোগ থেকে যাত্রীদের রেহাই দিতে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. জাহাঙ্গীর আলম নিয়েছেন ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ। তিনি মহাসড়কে চলাচলকারী লাখো মানুষকে যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়ে যানজটকে ‘লাল কার্ড’ দেখিয়েছেন।
দু’দিন আগেও যে রাস্তা পার হতে এক দেড় ঘন্টা সময় লেগে যেত। এখন ওই রাস্তায় লাগছে ১০ থেকে ২০ মিনিট। মাসিক বেতনে নিয়োগ দেওয়া ওই কর্মীরা দিন-রাত মহাসড়কের যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, ভোগড়া বাইপাস, সাইনবোর্ড, বোর্ডবাজার, বড়বাড়ি, টঙ্গী স্টেশন রোড, চেরাগ আলী, টঙ্গী কলেজ গেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাঁশি হাতে দাঁড়িয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবীরা ট্রাফিক শৃঙ্খলায় কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, নিয়োগপ্রাপ্ত এই স্বেচ্ছাসেবীরা পদ মর্যাদানুযায়ী মাসিক ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন পাবে । গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে তারা এ কাজ শুরু করেছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকা, মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং কিংবা যাত্রী ওঠা-নামা করতে না পারায় অনেকটাই কমে এসেছে যানজট।
গফরগাঁওয়ের বাসযাত্রী রেবেকা আক্তার বলেন, ‘আগের তুলনায় যানজট একটু কম। বাইপাসেই গতবার বাড়িতে যাবার সময় এক ঘন্টা অ্যাইটকা আছিলাম। এবার বাইপাস ফাঁকা।’
এ দিকে যানবাহন শৃঙ্খলার পাশাপাশি চান্দনা চৌরাস্তায় চাঁদাবাজিও কমেছে বলে বললেন এক ফুটপাত ব্যবসায়ী।
অ্যাড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সময় বাঁচানো এবং অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে যাত্রীদেরকে মুক্তি দেওয়ার কথা চিন্তা করেই এ উদ্যোগ নিয়েছি। ইন্টারভিউ নেওয়ার পর ৩০০ জন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ কিংবা বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা সদস্য। এ ক্ষেত্রে প্রতি মাসে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন বাবদ ৫১ লাখ টাকা, একটি জিপগাড়ি, দশটি মোটরসাইকেল, আলাদা পোশাকও দেওয়া হয়েছে তাদেরকে।
যানজট নিরসনে জাহাঙ্গীর আলমের এই উদ্যোগকে লিখিতভাবে অনুমতিও দিয়েছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। স্বেচ্ছাসেবীরা মহাসড়কে কাজ করলে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগটাও থাকবে না বলে নগরবাসী মনে করছেন।
উল্লেখ্য, এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
ভিডিওতে দেখুন স্বেচ্ছাসেবীদের কার্যক্রম
Our facebook page