Latest News
কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
মে ১৮, ২০২৪
গোবিন্দগঞ্জে ২১ কেজি গাঁজা জব্দ
মে ১৮, ২০২৪
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া বলেছেন, ৮০ পয়সা বা ২০ পয়সার যে কনসেপ্ট তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু দিয়েছেন তাতে সাম্যবাদী দল বিশ্বাসী না। এখানে ৮০ পয়সা আর ২০ পয়সার প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে দীলিপ বড়ুয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৩ দফার ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ১৪ দলীয় জোট। সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী শক্তি বিএনপির ছত্রছায়ায় বিকশিত হয়েছে। এরাই হচ্ছে মূল শত্রু। এর বিরুদ্ধে প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য গড়ে তোলাটা মূখ্য। সাম্যবাদী দল মনে করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ঐক্য অটুট রাখতে হবে।
দীলিপ বড়ুয়া আরো বলেন, দেশের এখন সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে নির্বাচনমুখি। আগামী নির্বাচনে কী হবে, আগামী নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করবে কি না, এনিয়ে দেশে বিভিন্ন ধরণের আলাপ-আলোচনা চলছে। সাম্যবাদী দলের মূল্যায়ন, আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক।
যারা নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত, আর যারা নিবন্ধিত না সবাই অংশ নেবে। কারণ নির্বাচনের মাধ্য ক্ষমতা হস্তান্তর ব্যতিত বাংলাদেশে অন্য কোনো পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নেই। গণতান্ত্রিক মাধ্যম ছাড়া। অন্য মাধ্যম বাংলাদেশে হবে না। অন্য কোনো পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা রাজনীতিবিদদের জন্য সুখকর হবে না।
ইতিমধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সেই পরীক্ষা হয়ে গেছে। অনেকে একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে চেয়েছিল যাতে নির্বাচন ভণ্ডুল হয়ে যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞচিত ভূমিকার ফলশ্রুতিতে সেই নির্বাচন ভণ্ডুল তো হয়নি, বরং জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে রাজনৈতিকদলগুলো সবাই অংশ নেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন এবং রোহিঙ্গা সমস্যা যেভাবে মোকাবিলা করেছেন তাতে তিনি আজকে বিশ্ব নেত্রী হিসেবে পরিচিত।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে, শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতৃত্ব বাংলাদেশে নেই। এখন নেই, সহসা হবে বলে সাম্যবাদী দল মনে করে না। কাজেই আগামীতে রাজশাহীর জনগণ, বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী করবে। মানুষ সহজেই ভুলে যায় অতীতে এর চেয়ে খারাপ কাজ হয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারা চাইবে অর্থনৈতিক প্রগতির ধারা ব্যাহত করতে। এখন জামায়াত-বিএনপি একই পুলে অবস্থান করছে। মূলত রাজনৈতিকভাবে জামায়াত দ্বারা বিএনপি নিয়ন্ত্রিত। তাই এই বিএনপিকে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের জন্য কল্যাণমুখি কাজ হতে পারে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পলিট ব্যুরো সদস্য লুৎফর রহমান, বীরেন সাহা, নগর সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।
Our facebook page