Latest News
কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
মে ১৮, ২০২৪
গোবিন্দগঞ্জে ২১ কেজি গাঁজা জব্দ
মে ১৮, ২০২৪
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
মুজতবা খন্দকার
আর কটা দিন সবুর করো, রসুন বুনেছি। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের আচরণটা ঠিক এরকম। সব হচ্ছে, সব দিচ্ছি। সম্পর্কটা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে নজীরবিহীন উচ্চতায় রয়েছে বলে, দুদেশের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে। অথচ তিস্তা প্রসঙ্গ এলেই কেমন জানি সুর-লয়টা কেটে যাচ্ছে। তখন কেবলি বলা হচ্ছে, আমরাই করবো এই চুক্তি।
উত্তরটা এবার নরেন্দ্রমোদি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দিলেন এভাবে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বললেন, একমাত্র তার এবং শেখ হাসিনার সরকারই দ্রুত তিস্তার পানি ভাগাভাগির সমাধান করতে পারবে। তার মতে, তিস্তা শুধু ভারত আর বাংলাদেশের জন্যই নয়, দুই দেশের সম্পর্কের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। মোদির পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমিও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ বিষয়গুলো (তিস্তা চুক্তি, গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ শুরু এবং অববাহিকাভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনা দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে ভারতের সহযোগিতা পাব। কোন টাইমফ্রেম দিয়ে মোদি দুদেশের সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান না।
কিন্তু এরকম আশ্বাস বাংলাদেশ শুনে আসছে সেই মনমোহনসিংহের সফরের সময় থেকে। তারপর তিস্তায় বহু পানি গড়িয়েছে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ভূমি পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়েছে। তবু বাংলাদেশ তার ন্যায্য পানির হিস্যা পায়নি। এটা কেমনতর সর্ম্পকের নতুন উচ্চতায় ওঠা-বাংলাদেশের জনগণের কাছে এই সম্পর্কটা গোলকধাঁধার মত ঠেকছে।
ভারতের গণমাধ্যম বলছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারণে কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তা চুক্তি করতে পারছে না। তবে ভারতের ২০১৯ সালে এবং বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে ভারত যেভাবেই হোক তিস্তা চুক্তি সই করবে, সেই আশ্বাসই প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে দিয়েছে দিল্লী। এমনকি, তিস্তা চুক্তি এখন না করে তখন করলেই যে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক লাভ বেশি, সেটাও তাকে বোঝানো হয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছে যে, এখন যদি তিস্তা চুক্তি সফলভাবে সম্পাদিতও হয়, দু’বছর পর বাংলাদেশের মানুষ সেই সাফল্যের কথা ভুলে যাবে। যেমন মাত্র দু’বছর আগে হওয়া ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তির সাফল্যের কথা অনেকটাই মানুষের স্মৃতি থেকে মুছে গেছে। এখন থেকে বছর দেড়েক পর যদি তিস্তা চুক্তি করা হয়, তাহলে মানুষের মনে সেই সাফল্যের রেশ থাকবে। শেখ হাসিনা যে ভারতের কাছ থেকে তিস্তার পানি সফলভাবে আদায় করতে পেরেছেন, সেটা নির্বাচনে নিশ্চয়ই তাকে বাড়তি সুবিধা দেবে।
আবার, শুকনো মৌসুমে চুক্তি করার প্রধান সমস্যা হলো এই মৌসুমে তিস্তায় এমনিতেই পানি কম থাকে। ফলে, চুক্তি হওয়ার পর পরই যদি বাংলাদেশে নদীর প্রবাহে কোনও লক্ষণীয় উন্নতি না দেখা যায়, তাহলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। এর বদলে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বর্ষার পরই চুক্তি সই করা সম্ভবত রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় হবে।
সময়ে সবই মিলবে। কিন্তু চাণক্যনীতি নিয়ে চলা ভারতের এসব কথায় আশ্বস্ত হওয়া বোকামী ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট, করিডোর প্রতিরক্ষার ব্যাপারে সমঝোতা আর কড়াল যাই বলুন সব পাওয়ার পর ২০১৯ সালে কে সরকারে গেল, আর কে গেল না, তাতে ওদের অতবেশী মাথা ব্যথা হবার কি কোন যুৎসই কারণ থাকবে?
আর মমতা দিয়েছেন নতুন চমক। তিনি বলেছেন, তিস্তায় পানি থাকে না তোর্সায় সারা বছর পানি থাকে। পানি নেওয়া যেতে পারে ধানসিঁড়ি নদী থেকেও। এ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার সমীক্ষা করুক। প্রয়োজনে আলোচনা হোক। এতে বাংলাদেশ সুবিধা পাবে। মমতা বলেন, সময় নিয়ে হলেও এই আলোচনায় ফল মিলতে পারে। মমতার এরকম প্রস্তাব হয়তো দীর্ঘমেয়াদের জন্য ঝুলে গেলো তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়টি।
দুই.
ভারতের ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের রিসার্চ ফেলো শ্রুতি এস পট্টনায়েক বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারটা ভৌগোলিক। বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত। সে কারণে দুই দেশের সহযোগিতার বিকল্প নেই। দুই দেশের নিরাপত্তার হিসাবে যেখানে রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তি প্রধান হয়ে উঠছে, সেখানে বিদ্যমান নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের বিকল্প নেই। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় এর প্রয়োজনীয়তা আছে।
তাই শেখ হাসিনার এই সফরকে প্রতিরক্ষা চুক্তি বা তিস্তার পানিবণ্টনের ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে দেখা উচিত নয়। বরং এটাকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা ও অনাবিষ্কৃত ক্ষেত্রের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা উচিত। পট্টনায়েক তিস্তা ও প্রতিরক্ষা সমঝোতাকে ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে দেখতে বাংলাদেশকে বারণ করেছেন।
অথচ পানির কারণে বাংলাদেশ মরুভূমি হচ্ছে -সেটা নিয়ে কথা বলা নাকি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র দৃষ্টি। উনারা উদার দৃষ্টি বলতে কি এটা বোঝান, বিনা শুল্কে ভারতকে ট্রানজিট দেয়া, বিনা বাধায় তাদের গাড়ি আমাদের রাজপথ দাপিয়ে তাদের সেভেন সিস্টারে নিয়ে যাওয়া?
বাংলাদেশকে তিনদিকে ঘিরে রেখেছে হিন্দুস্তান। হিন্দুস্তানের দুই শত্রু চায়না আর পাকিস্তান। চায়না আবার বাংলাদেশের স্ট্রাটেজিক্যাল বন্ধু। ওদিকে দক্ষিণে মিয়ানমারের বন্ধুত্ব চীনের সাথে, সেটা আবার ভারত ধোঁয়া দেবার কারনে পারদের মত উঠানামা করে। তবে চীনই মিয়ানমারের প্রকৃত মিত্র। ভারতের সাথে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি যে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে যাচ্ছে…তাতে কি আছে কারো কাছেই স্পষ্ট নয়।
এমনকি ভারতীয় সাংবাদিকরা মাসখানেক বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েও কারো মুখ থেকে কিছু বের করতে পারেনি। সবার মুখ কুলুপ আঁটা। তবে ভাসা ভাসা যেসব তথ্য আসছে, তাতে বোঝা গেছে, চুক্তি হলে দুই দেশ সামরিক বিষয়গুলিতে অভিন্ন নীতি মেনে নেবে। ভারতের অনুমতি ছাড়া তৃতীয় দেশের কাছ থেকে কোন সামরিক সহযোগিতা কিংবা সমরাস্ত্র কিনতে পারবে না। এমন কি কোন কারণে ভারতের যদি কোন বৈরী প্রতিবেশীর সাথে যুদ্ধ বাধে, সে ক্ষেত্রে অনিবার্যভাবে বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়বে।
বাংলাদেশের বন্দর ভারত চুক্তি অনুযায়ি তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। এমনিতেই লাদাঘ সহ ভারতের সাথে অমীমাংসিত ভূমি নিয়ে চীনের বিরোধ পূরনো। আর পাকিস্তানের সাথে তো কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনাটা চলমান। দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এমন জায়গায় অবস্থিত। যে দেশের একমাত্র ভারত ছাড়া আর কোন দেশের কাছ থেকে সামরিক হুমকীর আপাত কোন সম্ভাবনা নেই।
সুতরাং ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে বাংলাদেশের কোন লাভের সম্ভাবনা তো নেই বরং এ যেন খাল কেটে কুমির আনা হবে। সম্প্রতি ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকর ও সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেননের উদ্ধৃতি দিয়ে বর্তমান মোদির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, পারমানবিক শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হলে, ভারত প্রথম ধাক্কায় সেটা ব্যবহার করবে।(প্রথম আলো ৩ এপ্রিল)।
আমরা নিরীহ শান্তিকামী দেশ পারমানবিক শক্তিধর দেশ গুলির কাইজায় কেন নিজেদের জড়াবো, সেটা কি দেশের নীতি নির্ধারকরা একবারও ভেবেছেন? এদিকে, গত শনিবার ভারতীয় সুহৃদদের একটি অংশ চুক্তির বিরোধীতাকারীদের তুলো ধুনেছেন, তারা এর সাথে পাকিস্তানকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে টেনে এনেছেন। তারাও জানেন এই চুক্তির সাথে পাকিস্তানের দূরবর্তি কোন সম্পর্ক নেই। আর বাংলাদেশকে পাকিস্তানের আক্রমণের কোন ভূকৌশলগত কারণে কোন সুযোগও নেই, সেটা তারাও জানেন। কিন্তু সব কিছুর সাথে পাকিস্তানকে জড়িয়ে সরলিকরণ করা বা ত্যানা প্যাঁচানো যাদের অভ্যেস, তারা সেটা কিভাবে ছাড়বেন!
তাছাড়া ভারতের অন্যায় আবদারকে লিগ্যালাইজ করার জন্য অনর্থক পাকিস্তান জুজু সামনে এনে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কূটকৌশল কিম্বা প্রোপাগাণ্ডা চালাচ্ছেন। ভারত ও চীন হচ্ছে এশিয়ার দুই পরাশক্তি এমনকি বিশ্বপ্রেক্ষাপটেও। তাই অদূর ভবিষ্যতে রাজায় রাজায় যুদ্ধ বাধলে, বাংলাদেশের মত উলুখাগড়া (যারা সাথেও নেই, পাঁচেও নেই) তাদের প্রাণ যে যাবে না, সে গ্যারান্টি কোথায়! গ্রামের ভাষায়, একটি প্রবাদ আছে, সাইধে শাল পোঙায় নেয়া! আমরা কি সেটা নেবো কিনা দুবার ভাবার সময় এখনও কিন্তু আমাদের হাতে রয়েছে!
তিন.
অনুপ চেটিয়াকে নিশ্চয়ই মনে আছে আমাদের। আসামের স্বাধীনতাকামী সংগঠন উলফার শীর্ষ নেতা। ভারতকে তুষ্ট করতে আমরা অকৃতজ্ঞের মত তাকে বছর দুয়েক আগে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, সে বিচ্ছিন্নতাবাদী। কিন্তু আমরা ভুলেছিলাম যে আমরাও এক সময় (১৯৭১ সালে) পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হবার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, আমাদের অনেক নেতাই তখন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ছিলেন, কিন্তু সেই একাত্তরে আমাদের কোন নেতাকে কেউ বিচ্ছিন্নতাবাদী বলেনি।
সে অন্য প্রসঙ্গ। বলছিলাম অনুপচেটিয়ার কথা। প্রতিটা দেশই অন্য দেশের বিরুদ্ধে ইনসার্জেন্সি করে। এটা স্বীকৃত একটি রাষ্ট্রিয় পলিসি। কোন দেশ কম করে কোন দেশ বেশী। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ দেশে দেশে এ যাবৎ কম কিছু করেনি, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আফ্রিকার বহু শাসককে তারা গুপ্তচর পাঠিয়ে হত্যা করেছে, এখনো মোসাদের ইনসার্জেন্সি দেশে দেশে অব্যাহত আছে। ভারতের ‘র’ও কি কম যায়?
পার্বত্য এলাকাকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সত্তর ও আশি এমনকি নব্বই দশকের মাঝামাঝি শান্তি চুক্তি হবার আগ পর্যন্ত গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ পাহাড়িদের হাতে অস্ত্র দিয়েছে দেদারছে। আর সেই সময়ে তথাকথিত শান্তিবাহিনীর হাতে এদেশের দেশপ্রেমিক বহু সেনাবাহিনীর জওয়ান থেকে শুরু করে অফিসারকে পর্যন্ত প্রাণ হারাতে হয়েছে। অথচ, সেই ইনসার্জেন্সির কারণে বাংলাদেশের বহু পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে আমাদের আদালত ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে… সিআইএ, এম সিক্সটিন, কেজিবি কোন দেশ না গোয়েন্দা বৃত্তি চালায় না।
তবু ভারতের অখণ্ডতা রাখতে আমরা কিনা করছি, এখনো করে যাচ্ছি তাদের উত্তর পুর্বের রাজ্যগুলো, যা কিনা সেভেন সিস্টার নামে পরিচিত, সেইসব রাজ্যে রসদ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে নামমাত্র মুল্যে আমাদের বন্দর ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে দিয়েছি! নামে বেনামে, সদর বা অন্দর দিয়ে আরো কত কি দিচ্ছি।
বিনিময়ে আমরা কি পেলাম? সে হিসেব করলে কি আমি ভারত বিদ্বেষী হবো? হলে কোন আপত্তি নেই, দেশের জন্য সে তকমা নিতে আমার কোন সঙ্কোচ নেই। তবু ভারতকে কি দিলাম আর কি পেলাম সেই হিসাবের জাবেদা খাতা আমি খুলতে চাই।
ভারত বড় রাষ্ট্র হতে পারে, কিন্ত পাকিস্তানের রাজধানী পিন্ডির দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে আমাদের কম মূল্য দিতে হয়নি। আর এখন তাই ভারতের রাজধানী দিল্লীর অনুগত ছাত্র হতে আমরা রাজী নই। কূটনীতির একটি সার্বজনিন ভাষা হচ্ছে, সবার সাথে বন্ধুত্ব; কারো সাথে বৈরিতা নয়। আরো একটা কথা আছে, বিনাযুদ্ধে নাহি দেবো সুচাগ্র মেদিনি। কিন্তু আমাদের সেগুনবাগিচার সাদাবাড়ী নামের পররাষ্ট্র ভবনটা কি গত সাত-আট বছরে কেবল নতজানু হতে শিখেছে? শিরদাঁড়া সোজা করতে কি ভুলে গেছে?
দেবো আর নেবো মিলিয়ে মেলাবো। অথচ দিচ্ছি আরো দেবো যা আছে সব বিনাবাক্য ব্যয়ে, এটাই এখন আমাদের কূটনীতির সারবস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন শুধু ভারতীয় প্রতিশ্রুতির মিষ্টি ভাষণে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বছরের পর বছর পার করছি।
রবী ঠাকুর বলেছিলেন, কাজ কি সখি দূরের বাদ্যে, মাঝখানে তার বেজায় ফাঁক!
আমরা এখন দূরের বাদ্যের মত হিন্দুস্তানের প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে যেন অভ্যস্ত হয়ে গেছি!
সাংবাদিক, কলামিস্ট
mujtobantv @gmail.com
Our facebook page