Latest News
কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
মে ১৮, ২০২৪
গোবিন্দগঞ্জে ২১ কেজি গাঁজা জব্দ
মে ১৮, ২০২৪
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
সব পাখি ঘরে ফিরে না
আঁধার রাত্রির পর কে থাকে আলোর অপেক্ষায়?
শারদীয় মমতায় অনন্ত উদার মোহনীয়
দিন ক্রমশ উঠেছে দুলে। শিশির শুভ্র কায়ায়
অবারিত দৌড়ের ভুবনে, কে তোমার রমনীয়
রূপের সামনে জলন্ত গোলাপ ছুঁড়ে ছুটে যায়।
দূরের বাতাসে আজ, অসমাপ্ত আয়োজন শেষে
পাখিরা ফিরে না ঘরে, রয়ে যায় লেনদেন হায়!
কাছের মানুষ তবু দূরেই বসতি অবশেষে।
সাগর উজানে এলে যে দশা জলের মাঝে হয়
এমন লবণ মায়া বুকের ভেতর জমা রয়।
শরতে দেবীর মুখ দেখেছি এখনো মনে পড়ে
কপোলের তিল আর রাঙা শোভা ঠোঁট মিশে যায়।
চোখের অপার মায়া নিমেষে আকুল মনে ধরে
হারায় আলোর রূপ, আঁধারে অসীম নিরূপায়।
আরাধ্য আকাশবৃত্তি
এতোটা অন্ধ হয়েছি বুঝিনি কখনো
কবে কতোটা বেহাগ রেখেছি সুমন্দ শহরে
অদূরে আগত সুরের কল্লোল
পেছনে টেনেছে শুধু নিরালম্ব নিয়নের রাত।
স্বনির্বাচিত পূর্ণিমা
জোছনা ভিক্ষা নিতে এসেছিল কাছে
হরেক চাঁদের মায়া ছড়িয়েছি রাতের আকাশে।
সেই থেকে নির্মল আকাশবৃত্তি আমার…
এক রক্তিম দুপুরে ঝলসে গেল বৃত্তির অনুরাগ
প্রতারক দিনের পর ক্ষত-বিক্ষত হলো হন্তারক মধুরাত।
প্রেমান্ধ নির্মোহ চাঁদ অক্ষত রাতের কাছে
গচ্ছিত রাখে সুগুপ্ত আলাপ
গোপন আলোর মায়া অন্ধ করেছে প্রবল
মনের মূর্খতা ক্রমাগত টেনেছে সমিল আঁধারে।
দখিন ও পচিম
আমার দখিন কাঁদে অবিরত, পচিমে স্বপন ডাকে। সুরের সাহস হাঁকে চারদিক, দিয়েছি কিছুটা তাকে। রাঙা ছোট ফুল, মিষ্টি অতুল, রাঙিয়ে দিয়েছে হাত। বুকে ব্যথা যতো জোনাক হয়ে আলোকিত করে রাত। বাঁধ ভাঙা ঢেউ উতলা এমন টলমল দোলে নাও। মনকে বলি কর্ণফুলীর কানের ফুলে এ কোন সুরভি পাও? আকাশে আমার প্রবল দখল সমাজে তেমন নাই। মনের বদল মন বেঁধে দিলে অপার স্বর্গ পাই। দখিনের কথায় অসহায় লাগে, দিন কেটে গেলে রাত শুধু জাগে, হয় না-তো কোন গতি। পচিমের সুরে মাস ভেসে যায়, বছর হারায়, বাড়িছে আত্মরতি। ঘুমে থাকা পাখি, খুলে যদি আঁখি, দেখিবে ভবিষ্যত। ভালো যদি ভাসো নিবিড় হাসিতে বানিয়ে নেব পথ।
স্ট্যাচু ও সন্ধ্যাকুড়ানো কাল
বর্ণময় সন্ধ্যা হারিয়ে ফেলেছি শহরের ব্যস্ততম মোড়ে। প্রতিটি অবকাশ সন্ধ্যাকুড়ানো দিন ভেবে রাস্তা ধরে হাঁটি। অযথা ভিড় হতে যথার্থ দৃশ্যগুলো সরিয়ে জমা রাখি। মিলিয়ে নিই যাপিত ও যাপিতব্য দৃশ্যের সাথে। ইঞ্জিনচালিত বিবিধ যানবাহনের শব্দগুলো দূরের কোলাহল ভেবে কান পেতে রাখি। যদি দূর থেকে তোমার হাসি বা কান্নার শব্দ আসে। কান্নাগুলোকে বায়বীয় ভেবেছি জীবন ভর আর হাসিগুলোকে প্রেম-প্রতিম ইশারা। একজন হেসে হেসে ঠোঁটের কাছে এলে বোবা হয়ে যেত। বোবা হলেই যতো মায়া, ভাসমান সুখ ও নিবিষ্ট মগ্নতা। অন্যজন হাসলে অদৃশ্য হতো কপোলের তিল। এসব যথার্থ ছবি কুড়াতে কুড়াতে সন্ধ্যা হলে ইচ্ছে করে সন্ধ্যার ধূপগন্ধী মানুষের কাছে সমর্পণ করি নিজেকে। সন্ধ্যায় রাস্তার মোড়গুলো সমর্পণ উপযোগী হয়। এমন কাল এলে ইচ্ছে করে একাত্তরের স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি মোড়ে।
অনার্যাবর্ত
আবার তবে কি উঠবো জেগে? হরপ্পার অনার্য মাটিতে মৌলিক মানুষ ক্রমশ আলাদা হয়ে আর্য-অন্ধকার ভেদ করে ফের। গভীর ধ্যানে হারানো সুখ আর উল্লাসকর ক্ষণগুলো ফিরে আসে সিঁদুরিয়া সূর্যের রঙে। শোভন সিন্ধু হতে উঠে এসে গড়ে নিব অমূল্য অনার্যাবর্ত। বিভেদের দেয়াল গুড়িয়ে গড়ি সাম্য-সুন্দর। বিশ্বাসের বেলুন উড়িয়ে দিলে ঈশ্বর নেমে আসে ঠেলাটানা মানুষের ভিড়ে। ঘামে-শ্রমে-রক্তে গড়া সভ্যতার কোন মোড়ল কোথায় গড়েছ প্রমোদ প্ররোচনা? নুনের ঝাঁজ মাড়িয়ে তোমার আর্যাবর্তে নতুন কোন ফুল ফুটবে না আর।
Our facebook page