Latest News
কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
মে ১৮, ২০২৪
গোবিন্দগঞ্জে ২১ কেজি গাঁজা জব্দ
মে ১৮, ২০২৪
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
গত বছরের আগস্টের পর থেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু বুধবার দেশটির সেনাপ্রধান ১০ রোহিঙ্গাকে সেনাবাহিনী হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এসব রোহিঙ্গাকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে তাদেরকে আটক করা হয়েছিল। স্থানীয় বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা এসব বন্দীকে নিজেদের কবর খুঁড়তে বাধ্য করেছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গ্রামবাসী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা স্বীকার করেছে, তারাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বুধবার জানিয়েছে, পশ্চিম রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভুল স্বীকার রীতিমতো বিরল ঘটনা।
মিয়ানমার পুলিশের ৩০টি তল্লাশি চৌকি ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলার পর ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মুখে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। এ পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রাজধানী সিতউই থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরে উপকূলীয় ইন দীন গ্রামে একটি গণকবরে ১০ জনের মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানায়। এরপর ঘটনা তদন্তে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে নিয়োগ করে সেনাবাহিনী।
বুধবার সেনাবাহিনী বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওই ১০ জনকে হত্যা করেছে বলে তদন্তে জানা গেছে এবং এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের ফেইসবুক পেজে বুধবার দেওয়া বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, গত ১ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযানে গেলে ‘২০০ বাঙালি সন্ত্রাসী লাঠি ও তরবারি নিয়ে হামলা চালায়’। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী ফাঁকা গুলি ছুড়লে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ১০ জন ধরা পড়ে। আইন অনুযায়ী আটকদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা উচিত ছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীরা একের পর এক হামলা চালাচ্ছিল এবং তারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেনাবাহিনীর দুটি যান ধ্বংস করে।
এতে বলা হয়, ‘পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১০ বাঙালি সন্ত্রাসীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের কোনো পরিস্থিতি ছিল না এবং তাদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
Our facebook page