Latest News
কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
মে ১৮, ২০২৪
গোবিন্দগঞ্জে ২১ কেজি গাঁজা জব্দ
মে ১৮, ২০২৪
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রবীণ রাজনীতিবীদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় রায় আর নেই।
আজ ভোর ৫টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বুধবার সকাল ১০টায় তাঁর মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এর আগে বার্ধক্যজনিত নানা রোগ নিয়ে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বরেণ্য এ রাজনীতিক।
৮৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ মৃত্যুকালীন সময় পর্যন্ত সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক এবং সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অজয় রায় ১৯২৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানে তাঁর মাতামহ মদন দত্ত আইন ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন। পৈতৃক বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রামে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে অজয় রায় জ্যেষ্ঠতম।
তাঁর বাবা ড. প্রমথ নাথ রায় ভারতের বারানসি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ভাষার অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর মা কল্যাণী রায় ছিলেন গৃহিণী। ১৯৩৭ সালে ভারতের যুক্ত প্রদেশের বারানসিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং অ্যাংলো–বেঙ্গলি ইন্টারমেডিয়েট কলেজ থেকে ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন।
তিনি বারানসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইএসসি পাস করেন ১৯৪৫ সালে। বারানসিতে অজয় রায়ের পরিবার যে এলাকায় বসবাস করত, সেটা ছিল কমিউনিস্ট-অধ্যুষিত। আবার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বাঙালি। ফলে স্কুলজীবন থেকেই কমিউনিস্ট নেতাদের সংস্পর্শে এসে একজন সক্রিয় কমিউনিস্ট কর্মী হয়ে ওঠেন।
আইএসসি পাস করার পর তিনি বারানসি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৪৪ সালে তাঁর বাবা মৃত্যুবরণ করেন এবং তার এক বছর পরই তাঁর মা মৃত্যুবরণ করলে বাধ্য হয়ে ছোট ভাই–বোনদের নিয়ে চলে আসেন বনগ্রামের পিত্রালয়ে। সেখানে ঠাকুরদা ও ঠাকুরমায়ের তত্ত্বাবধানে ভাইবোনদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে নিজে মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে বিকম শ্রেণিতে ভর্তি হন ১৯৪৬ সালে।
জেলখানা থেকে অর্থনীতিতে এমএ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বনগ্রামে ফিরে এসে কমিউনিস্ট পার্টির কাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।
Our facebook page