এই প্রকল্পে জাপানের ১০৬ বছরের পুরনো একটি মাছের জাল প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান, নিত্তো সিমো কর্পোরেশন জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাথে একসাথে কাজ করেছে।
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বিপুল পরিমাণ আবর্জনা সরানোর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে জাপান।
অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের তার দিয়ে তৈরি প্রায় ৭০০ মিটার লম্বা একটি দড়ির সাহায্যে মহাকাশে থাকা আবর্জনার গতি স্তিমিত করে সেটিকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।
মাছ ধরার জাল প্রস্ততকারক একটি প্রতিষ্ঠানও এই যন্ত্রটি বানাতে সাহায্য করেছে।
ধারণা করা হয় মহাকাশে ১০ কোটিরও বেশি নানাধরনের আবর্জনা রয়েছে, যার মধ্যে পুরনো স্যাটেলাইটের ফেলে দেয়া যন্ত্রপাতি, রকেট বা স্যাটেলাইটের ছুটে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষুদ্র অংশও রয়েছে।
এসব বস্তুর অনেকগুলোই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ২৮,০০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত উচ্চগতিতে চলছে এবং যেকোন সময় কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটের সাথে এগুলোর সংঘর্ষের মাধ্যমে বিশ্বের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
১৯৫৭ সালে সোভিয়েত উৎক্ষেপিত প্রথম স্যাটেলাইট, স্পুৎনিক মহাকাশে পাঠানোর পর থেকে গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব আবর্জনা মহাকাশে জমা হয়েছে।
স্যাটেলাইটের মধ্যে সংঘর্ষ এবং স্যাটেলাইট ধ্বংসকারী অস্ত্রের পরীক্ষার ফলে এই অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে।
স্বয়ংক্রিয় কার্গো মহাকাশযানটির নাম দেয়া হয়েছে সারস পাখি বা জাপানি ভাষায় কোনোতোরি।
Our facebook page