লর্ডসের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে হারতে বসা ম্যাচ টাইয়ে শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। মার্টিন গাপটিলের থ্রো বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারি না হলে ফাইনালের ফল অন্যরকম হতে পারতো। দৌড়ে ২ রান নেওয়ার সঙ্গে বাউন্ডারি মিলিয়ে ইংল্যান্ডকে ৬ রান দেওয়ার সংকেত দেন আম্পায়ার ধর্মসেনা। লেগ আম্পায়ার ম্যারাইস এরাসমাসের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
ধর্মসেনার এই সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন সাবেক আম্পায়ার সাইমন টাফেল। তিনি ছাড়াও অনেক সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিশ্লেষকরা ৬ রানের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। যাতে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও লঙ্কান আম্পায়ারকে নিয়ে হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। বিশ্বকাপ ফাইনালের এক সপ্তাহ পর এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ধর্মসেনা।
শ্রীলঙ্কান পত্রিকা ‘সানডে টাইমস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘টিভি রিপ্লে দেখে মন্তব্য করা খুব সহজ। এখন টিভি রিপ্লে দেখার পর আমি নিজেও বুঝতে পেরেছি সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। তবে আমার সামনে তো রিপ্লে দেখার জন্য বড় কোনও টিভি ছিল না, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই।’ বরং আইসিসি থেকে প্রশংসা পাওয়ার কথাই শুনিয়েছেন ৪৮ বছর বয়সী সাবেক অলরাউন্ডার।
আইসিসির ১৯.৮ ধারা অনুযায়ী, থ্রো করার সময় দুই ব্যাটসম্যান একে অন্যকে পেরিয়ে গেলে ওই রান ওভার থ্রো থেকে গণনা করা হবে। কিন্তু গাপটিল যখন থ্রো করেছিলেন স্টোকস ও আদিল রশিদ প্রথম রান শেষ করে দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় নিজেদের ক্রস করতে পারেননি। সেই হিসেবে ইংল্যান্ড ৬ নয়, পাবে ৫ রান। ধর্মসেনার সিদ্ধান্তে পাওয়া ওই ১ রানেই ম্যাচ টাই করে ইংল্যান্ড।
ওই অবস্থায় থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য তো নেওয়া যেত? ধর্মসেনার ব্যাখ্যা, ‘এখানে আউটের কোনও বিষয় ছিল না, তাই থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়ার কোনও নিয়ম আইনে নেই। তাই আমি লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে প্রযুক্তির সাহায্যে কথা বলছিলাম, যে কথা অন্য আম্পায়াররা ও ম্যাচ রেফারিও শুনতে পাচ্ছিলেন। এই অবস্থায় তারাও টিভি রিপ্লে চেক করেনি, তারা সবাই নিশ্চিত করেছিল রান পূর্ণ হয়েছে। এই কারণেই আমি সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম।’
এই সিদ্ধান্তকে ‘সাধারণ’ হিসেবেই দেখছেন ধর্মসেনা, ‘ভুল করে একজন আম্পায়ার ওয়াইড কিংবা নো-বল দিতে পারে, আর সেটা বুঝতে পারবেন আপনি ওই টিভি রিপ্লের কারণেই। এই অবস্থায় তো আমরা পিছিয়ে আসতে ও ম্যাচ পাল্টে দিতে পারি না। ওই বিষয়গুলোরই একটি এই (ফাইনালের) ঘটনা।’ ক্রিকইনফো