Latest News
ফেনীতে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে শিক্ষার্থী নিহত
মে ১৯, ২০২৪
বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
মে ১৯, ২০২৪
গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ৪
মে ১৯, ২০২৪
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের ভুয়া অভিযোগ তুলে প্রকল্পটি পিছিয়ে দেয়ার ঘটনায় বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব বলে সংসদে বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, এই ব্যবস্থা যেমন বাংলাদেশে নেয়া যাবে, তেমনি বিদেশেও নেয়া যায়।
রবিবার জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অন্যায় অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক যে মর্যাদাহানির চেষ্টা করেছে, সে জন্য তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মাফ চাইতে হবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু প্রকল্প পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে তোলপাড় হয়েছে। ২০১০ সালেই ওই সেতুর পরামর্শক নিয়োগে ঘুষ দেয়ার চক্রান্তের অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ সরকার বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও সে সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসনের বিরুদ্ধে মামলার দাবি জানায় বিশ্বব্যাংক।
একবার পদ্মাসেতুকে প্রতিশ্রুত ১২০ কোটি ডলার ঋণ স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে পরে আবার ফিরে আসে। এরপর তাদের শর্ত মেনে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করে দুদক। আর সাত জনের বিরুদ্ধে মামলাও করে সংস্থাটি। কিন্তু আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া যায়নি জানিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি হয়নি বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
তবে বিশ্বব্যাংক এটা মেনে নিতে না পেরে ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই অর্থায়নের সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। তারা সরে যাওয়ার পর জাইকা, এডিবি ও আইডিবিও সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি বাতিল করে। এতে পদ্মাসেতু প্রকল্পটিই হুমকিতে পড়ে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ অর্থায়নে সেতু বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেই সেতুটি চালু হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে এই ঘুষ চক্রান্ত নিয়ে কানাডার আদালতে চলা মামলার রায় প্রকাশ হয় স্থানীয় সময় শুক্রবার। এতে বিচারক বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকে গালগপ্প ও উড়োকথা বলে বর্ণনা করে সব আসামিকে খালাস দেন।
Our facebook page