Latest News
ফেনীতে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে শিক্ষার্থী নিহত
মে ১৯, ২০২৪
বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
মে ১৯, ২০২৪
গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ৪
মে ১৯, ২০২৪
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
জেলার পলাশ উপজেলার স্কুল শিক্ষার্থীরা শুনেছে এবার ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গণহত্যার কাহিনী। তাও আবার যেখানে পাকিস্তানী নরপশুরা বাংলার দামাল ছেলেদের ধরে এনে পাখির মতো গুলি করে মাটি চাপা দিয়েছিলো সেই বধ্যভূমির পাশে।
এই উদ্যোগটি গ্রহন করেছেন পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার।
২৫ মার্চ গণ হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার পলাশ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বধ্যভূমির পাশে এক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামান্য চলচিত্র প্রদর্শিত হয়।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পলাশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন।
পলাশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হক মন্টুর উপস্থাপনায় আলোচনা করেন, পলাশ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সুলতানা লাকি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দেবনাথ, পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, জিনারদী ইউপি চেয়ারম্যান মো: কামরুল ইসলাম গাজী, পলাশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার এনামুল হক ভূইয়া প্রমূখ।
এসময় উপজেলা স্যাটেলমেন্ট কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ মো: আরিফুর রহমান, আনসার কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যেশে অতিথিগণ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার আপামর জনতার উপর পাকিস্তানীদের যে নির্মম থাবা পরেছিলো তা আজ নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন। আর তার আলোকেই বধ্যভূমির পাশে উপজেলা প্রশাসন এই আয়োজন করেছে।
অতিথিগণ আরো বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হায়েনারা এদেশের নিরীহ জনগণকে ধরে এনে এই গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে এক এক করে হত্যা করে এখানে মাটি চাপা দিয়েছিলো। শুধু তাইনয়, এই বাংলার হাজারো বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করেছিলো। কিন্তু সেই বর্বর জাতি বাংলার দামাল ছেলেদের কাছে পরাজিত হলো। যারপর থেকে তারা আজো বাংলাদেশের কাছে মাথা নতো করে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু আজ সেই পাকিস্তানী প্রেতাত্বারা বাংলার স্বাধীনতাকে নষ্ট করার জন্য দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা করে অশান্তি সৃষ্টি করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা যারা সচেতন মহল রয়েছি তাদের উচিত এদের এই অপশক্তির বিরোদ্ধে রুখে দাড়াবার। আলোচনা শেষে সাংষ্কৃতিক ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামান্য চলচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
Our facebook page