ক্রীড়াঙ্গনে নতুন তারকা খুঁজে বের করতে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘তৃণমূল পর্যায় থেকে বাছাইকৃত প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ২০১৫-১৬’ প্রকল্পের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) অশোক কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘তৃণমূল থেকে আমরা যাদের সংগ্রহ করেছি, তাদের মধ্যে থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়ারই হয়তো একদিন পাল্টে দিবে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাস। আজকের মুস্তাফিজ আবিষ্কার হয়েছে বিদ্যুৎহীন এক পরিবারে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও তৃণমুলে মেধাবী মুখ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস এই কর্মসূচি থেকে আমরা নতুন দিনের তারকার সন্ধান পাব।’
সভায় বক্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পরিচালিত ‘তৃণমূল পর্যায় থেকে বাছাইকৃত প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ২০১৫-১৬-র অধীনে মোট ৩১টি ক্রীড়া ফেডারেশনের প্রথম পর্যায় প্রায় শেষ হয়েছে। কার্যক্রম শেষে স্ব-স্ব ডিসিপ্লিনের আঞ্চলিক পর্যায়ে বা কেন্দ্রিয়ভাবে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণপর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের প্রধান সমন্বায়ক বাদল রায়, রোয়িং ফেডারেশনের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, খোখো ফেডাশেনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাবুল ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ ইব্রাহিম চেঙ্গিস, কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদ নজরুল ইসলাম, সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ খান বাবুল প্রমূখ বক্তব্য রেখেছেন। সভায় ৩১টি ফেডারেশনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি বাস্তবায়ন দপ্তরের মনিটরিং টিমের কর্মকর্তারা দেশের ৬৪টি জেলায় ৩১টি ডিসিপ্লিনের চলমান কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য যে, দেশের ৬৪টি জেলাকে ৮টি অঞ্চলে বিভক্ত করে হয়। পরিষদের ১৮জন প্রশিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত মনিটিরিং টিম ও কর্মসূচি পরিচালক অঞ্চলসমূহে অবস্থান করে তৃণমূল পর্যায়ে পরিদর্শনের প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পাদন করছেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ৩১টি ক্রীড়া ফেডারেশনের প্রায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ২৩ জন অংশ নেন।