Latest News
কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
মে ১৮, ২০২৪
গোবিন্দগঞ্জে ২১ কেজি গাঁজা জব্দ
মে ১৮, ২০২৪
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১.৮ বছর বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম ১১) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমাদের দেশে নারী-পুরুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৫-২০০৬ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৫ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু ৭১.৮ বছর। এরমধ্যে মহিলাদের ৭৩.১ বছর এবং পুরুষের ৭০.৬ বছর।’
গড় আয়ু বৃদ্ধিতে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্ব সংস্থা ইতোমধ্যেই পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবে সনদ প্রদান করেছে। কুষ্ঠরোগ নির্মূল হয়েছে। নবজাতকের টিটেনাস বাংলাদেশে নেই। যক্ষ্ম নিয়ন্ত্রণে রোগ সনাক্তকরণ ও ডটস পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান জোরদার এবং কার্যকর করা হয়েছে। এভিয়েন, সোয়াইনফ্লুসহ সকল এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যানথ্র্যাক্স, নিপাহ, ডেঙ্গুসহ সব সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ হবে অন্যতম সমস্যা-এ আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এজন্য অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণকে অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণের কর্মসূচি। এ কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।’
দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের যথোপযুক্ত কর্মসূচি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যা বিশ্বের জন্য রোলমডেল হিসেবে পরিচিত।’
এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের আন্তরিকতা ও উদারতার ফলে বাংলাদেশের ঔষধ অন্যতম শিল্প সেক্টরে পরিণত হয়েছে। দেশীয় চাহিদার শতকরা ৯৮ ভাগেরও বেশি ঔষধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়।’
বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রফতানি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওষুধ রফতানির পরিমাণ ও দেশের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের ৫৪টি ওষুধ কোম্পানি কর্তৃক মোট ১২৩টি দেশের ৮৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার ওষুধ রফতানি করা হয়েছে।’
সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতি ৬০০০ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ার স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রায় ১৩১৩৬ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়নখাতে ১৩১১৪ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়োজিত আছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে ৩০ প্রকারের ওষুধ এবং ২ প্রকারের পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।’
Our facebook page