ইংল্যান্ড ওয়ানডে দলে নিজের অবস্থান পাকা করতে না পারলেও নিজ মাঠে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ খেলতে চান পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। তাঁর লক্ষ্য নিজেদের মাটিতে জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা।
চলতি বছরের শুরুতে টেস্ট বোলার হিসেবে শীর্ষ র্যাংক লাভ করা ব্রড ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলে ছিলেন। তবে ওই আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে ইংলিশদের। পরবর্তীতে সাদা বলের ক্রিকেটে দলটির আমূল পরিবর্তন ঘটে এবং সফলতার মুখ দেখতে থাকে। এ সময় তাদের খেলার কৌশলও বদলে যায়। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা দারুণ দক্ষতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং দুই বছর পর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজন করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আর এ সময়ের মধ্যেই ওয়ানডে স্কোয়াডে স্থায়ীভাবে আসন ফিরে পাবার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করার লক্ষ্য স্থির করেছেন ৩০ বছর বয়সী ব্রড।
স্কাই স্পোর্টসে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্রড বলেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে আমি মরিয়া। আমার মনে হয় ইংল্যান্ড দলের সব ক্রিকেটারের একই লক্ষ্য।’ ১২১ ওডিআই ক্রিকেটে অংশ নিয়ে ১৭৮ উইকেট শিকার করা এই গতি তারকা বলেন, ‘টুর্নামেন্টের এখনো অনেক দূর হলেও এখন থেকেই পথচলা শুরু করতে হবে।
ক্রিকেটের সবচেয়ে কঠিনতম অংশ হচ্ছে অধিক পরিমাণ টেস্ট ক্রিকেট। আমি ৪৮টি ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু আপনি যদি সাদা বলে পর্যাপ্ত সংখ্যক ম্যাচ খেলার সুযোগ না পান তাহলে নিজের মান বজায় রাখা কঠিন।’ গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি ওডিআই ম্যাচে অংশগ্রহণের পর আর জাতীয় দলের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি ব্রড। এরই মধ্যে ইংল্যান্ড তাদের হোম সিরিজে হারিয়েছে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানকে।
আগামী শুক্রবার থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরু হওয়া ওডিআই সিরিজেও উপেক্ষিতই থেকে গেছেন ব্রড। তিনি বলেন, ‘আমি এখন সাদা বলে আরো বেশী ম্যাচ খেলার সুযোগের চেষ্টা করছি । এই বল দিয়ে এরই মধ্যে আমি কিছুটা ছন্দও খুঁজে পেয়েছি। ৫০ ওভারের ম্যাচে এখন আমি কিছুটা ভাল করছি। এখন আমার দরকার আরো বেশী পরিমাণ ম্যাচে অংশগ্রহণ করা।’