Latest News
কালিহাতীতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
মে ১৮, ২০২৪
গোবিন্দগঞ্জে ২১ কেজি গাঁজা জব্দ
মে ১৮, ২০২৪
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
একমাত্র ছেলে আব্রাম খান জয়কে সহকারী শেলীর কাছে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে গত শুক্রবার কলকাতায় চিকিৎসা করাতে যান অপু বিশ্বাস।এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিনেতা শাকিব খান। তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘মা হিসেবে অপু বিগ জিরো। এ ব্যাপারে অপুর বিরুদ্ধে আমি খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবো।
গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকক থেকে ঢাকায় ফেরেন শাকিব খান। দেশে ফিরে শুক্রবার সাড়ে ৯টার দিকে ছেলেকে দেখতে রাজধানীর নিকেতনের বাসায় ছুটে যান শাকিব। তবে জয়ের দেখা পাননি তিনি। ছেলে জয় ও অপুর সহকারী শেলীকে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে অপু তখন চিকিৎসার জন্য কলকাতায়।
এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য শোনা গেছে অপু ও শাকিবের কাছ থেকে। অপু দাবি করেছেন, বাথরুমে পা পিছলে পড়ে গিয়ে সিজারের জায়গায় ফেটে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে কলকাতা যেতে হয়েছে। প্রথমে তিনি ঢাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা নেন এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকালে কলকাতা রওনা দেন। এ ক্ষেত্রে ছেলে জয়কে ঢাকায় কারো কাছে রেখে আসতে তিনি ভরসা পাননি বলে দাবি করেন।
সন্তানকে দাদা-দাদির কাছে রেখে যেতে পারতেন কি না—এমন প্রশ্নে কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে যান অপু বিশ্বাস। এরপর খানিকটা আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার বাবুর (আব্রাম) প্রথম জন্মদিন গেল। অনুষ্ঠানে দাদা-দাদি, ফুফু কেউই আসেননি। তাঁরা আমার বাসায়ও কখনো আব্রামকে দেখতে আসেন না। তাহলে আমি কীভাবে তাঁদের কাছে রেখে আসি? শাকিব যে ব্যাংকক থেকে ফিরেছে, সেটাও আমাকে জানানো হয়নি। তাঁদের পরিবারের কেউই আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। যদি জানতাম শাকিব ঢাকায়, তাহলে আব্রামকে তার বাবার কাছেই রেখে আসতাম।’
তবে বিষয়টি হাস্যকর দাবি করেন অপুর স্বামী শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘অপু নাকি নিয়মিত জিমে যায়, ব্যায়াম করে। তখন শরীরের কোনো সমস্যা হলো না, আর বাথরুমে পড়েই পুরোনো সেলাইয়ের জায়গা ছিঁড়ে গেল! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?
শাকিব আরো বলেন, ‘অপুর যদি তেমন কিছু হয়েই থাকে তাহলে সে জয়কে আমার বাবা-মায়ের কাছে রেখে যেতে পারত, নইলে সঙ্গে নিয়ে যেত। কিন্তু সে শেলির কাছে রেখে গেছে জয়কে। জয়ের যদি কিছু হয় তাহলে এর দায় নেবে কে? ছেলের প্রতি মায়া থাকলে কাজের মেয়ের জিম্মায় রেখে কখনও বিদেশে যেতে পারত না। তাও আবার ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে!
Our facebook page